জন্মদিন: মাধুরী দীক্ষিত

 

 

নাচে বিশেষভাবে পারদর্শী এ বলিউড অভিনেত্রীর জন্ম ১৯৬৭ সালের ১৫ মে। ১৯৮৪ সালে ‘অবোধ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পথচলা শুরু। ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দর্শক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেন এবং ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।

১৯৮০ ও ৯০-এর দশকে তিনি হিন্দি সিনেমার নেতৃত্বদানকারী অভিনেত্রী ও শীর্ষস্থানীয় নৃত্যশিল্পী হিসেবে একচ্ছত্র প্রাধান্য ও প্রভাব বিস্তার করেন। তিনি বেশ কিছু ছবিতে নর্তকী চরিত্রে অভিনয় করেন এবং চলচ্চিত্রে অনেক বাণিজ্যিক সাফল্য পান। হিন্দি সিনেমায় অনবদ্য অবদানের জন্য তিনি ২০০৮ সালে ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রীতে ভূষিত হন।

মাধুরী দীক্ষিত ভারতের মুম্বাইয়ের অধিবাসী। মারাঠি ব্রাহ্মণ পরিবারে শঙ্কর ও স্নেহলতা দম্পতির কন্যা। মাধুরী ডিভাই চাইল্ড হাই স্কুল ও মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি কথক নৃত্যশিল্পে আট বছরের প্রশিক্ষণ নেন।

মাধুরী দীক্ষিত ‘দিল’ (১৯৯১), ‘বেটা’ (১৯৯৩), ‘হাম আপকে হে কৌন’ (১৯৯৫), ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ (১৯৯৮) ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। আবার ২০০৩ সালে ‘দেবদাস’-এ অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান। এছাড়া তিনি বহুবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড মনোনয়ন পান।

শুধু অভিনয় দক্ষতার জন্যই মাধুরী পরিচিত ছিলেন না, তার নৃত্যকলাও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বলিউডের যেসব গানে তার নৃত্যশৈলী দর্শকের নজর কেড়েছে ও বোদ্ধাদের প্রশংসা পেয়েছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেযোগ্যÑ‘এক দো তিন’ (তেজাব), ‘হামকো আজ কাল হ্যায়’ (সায়লাব), ‘বড় দুখ দিনহা’ (রাম লক্ষ্মণ), ‘ধক ধক’ (বেটা), ‘চানে কে খেত মে’ (আনজাম), ‘দিদি তেরা দেবর দিওয়ানা’ (হাম আপকে হে কৌন), ‘চোলি কি পিছে’ (খলনায়ক), ‘আখিয়া মিলাও’ (রাজা), ‘মেরা পিয়া ঘর আয়া’ (ইয়ারানা), ‘কে সেরা সেরা’ (পুকার) ও ‘মার ডালা’ (দেবদাস)। ২০০২ সালে সঞ্জয় লীলা বানশালীর ‘দেবদাস’ ছবিতে শাহরুখ খান ও ঐশ্বরিয়া রায়ের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। অসামান্য অভিনয়শৈলী ও অপূর্ব দক্ষতার জন্য ফিল্মফেয়ার সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন তিনি। চলচ্চিত্রটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল ও কান উৎসবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল।

মাধুরী দীক্ষিত ১৯৮৪ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পুরোদমে অভিনয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তারপর কয়েক বছর বিরতির পর ২০০৭ সালে ‘আজা নাচলে’ ছবির মাধ্যমে আবার সক্রিয় হন।

১৯৯৯ সালে মাধুরী ডেনেভার, কলোরাডোতে কর্মরত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওভাসকুলার সার্জন শ্রীরাম মাধব নেনেকে বিয়ে করেন। ডা. নেনে মারাঠি ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান। দীক্ষিতের দুই ছেলে (আরিন, জন্ম: ১৮ মার্চ ২০০৩, কলোরাডো ও রায়ান, জন্ম: ৮ মার্চ ২০০৫, কলোরাডো) রয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০