নব্বইয়ের দশকে বলিউডে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন অজয় দেবগন। একজন রোমান্টিক অভিনেতা হিসেবে ‘ফুল আউর কাঁটে’ (১৯৯১) দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে পথচলা শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ঘরানার ছবিতে দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করে নিজেকে বারবার ভেঙেছেন তিনি। প্রত্যেকবারই তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ভারত সরকার তাকে চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসমারিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী’ দিয়ে সম্মানিত করেছে। এছাড়া তিনি দুইটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও চারবার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জয় করেছেন। এসবের বাইরেও তিনি অনেক পুরস্কার জয় করেছেন এবং পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন।
অজয় দেবগন অনেক বৈচিত্রপূর্ণ চরিত্র সার্থকতার সঙ্গে পর্দায় চিত্রায়ন করেছেন সেটা কমিক, অ্যাকশন বা নেগেটিভ যা-ই হোক না কেন। নব্বইয়ের দশকে মহেশ ভাট অভিনীত ‘জখম’ (১৯৯৮) ছবিতে তার অনবদ্য অভিনয় তাকে যেমন জাতীয় স্বীকৃতি এনে দিয়েছে তেমনি ভগৎ সিংয়ের বায়োপিকে তার দুর্দান্ত অভিনয় নতুন অজয় দেবগণকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। এমনকি, ‘সিঙ্গাম’-এর মতো মাসালা এন্টারটেইনিং ছবিতেও নিজের অভিনয় দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন অভিনেতা অজয় দেবগন।
অজয় দেবগন ১৯৬৯ সালের ২ এপ্রিল ভারতের নয়াদিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। অভিনয় ছাড়াও তিনি কিছু সিনেমা পরিচালনা ও প্রযোজনা করেন।
উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: ‘জিগার’, ‘এক হি রাস্তা’, ‘দ্য লিজেন্ড অব ভগৎ সিং’, ‘হাম দিল দে চুকে সনম’, ‘থাকশাক’, ‘জান’, ‘পেয়ার তো হোনা হিথা’, ‘ইশক’, ‘রেইনকোট’, ‘রাজনীতি’, ‘সিঙ্গাম’, ‘কোম্পানি’, ‘লজ্জা’, ‘ওয়ানস আপন এ টাইম ইন মুম্বাই’, ‘গঙ্গাজল’, ‘ওমকারা’ ও ‘সত্যাগ্রহ’।