Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 3:13 pm

জবিতে ‘বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামীর প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনার

প্রতিনিধি, জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামীর প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) তরুণ কলাম লেখক ফোরামের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুক হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড.কামালউদ্দীন আহমদ, প্রধান আলোচক ছিলেন জিটিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।
মোঃ ইসরাফিল হোসেন রাফিলের সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসাইন সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল, ছাত্রকল্যাণের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আইনুল ইসলাম, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মারজুকা রায়না প্রমুখ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুক হক বলেন, ‘একটা সময় বিশ্বব্যাংক আমাদের দেশে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অর্থায়ন বন্ধ করেছিল। অথচ, আজ আমরা নিজস্ব অর্থায়নের দেশের উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যখন ক্ষমতায় আসেন তখন তিনি বলেছিলেন তোমরা আমাকে দশ বছর সময় দাও, আমি পাকিস্তানকে সুইজারল্যান্ড বানিয়ে দিবো। তখন সাংবাদিকরা বলেছিল, আমরা সুইজারল্যান্ড হতে চাইনা। আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। দিস ইজ বাংলাদেশ।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড.কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে আজ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যত লেখালেখি, বই প্রকাশ হচ্ছে সেটা কীভাবে সম্ভব হয়েছে সেটা কিন্তু আমাদের বিচার করতে হবে। অর্থাৎ, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পঁচাত্তরের সেই কালো রাতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই চর্চাটা কিন্তু সেভাবে ছিলনা। এই চর্চাটা সম্ভব হয়েছে আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই। ’
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘আমরা যারা কলাম লিখি তারা কোনো একটা বিষয়কে নানাভাবে  বিশ্লেষণের চেষ্টা করি। এজন্য ব্যাপক পড়াশোনার প্রয়োজন আছে। এজন্য অনেক বেশি পড়তে হয় পৃথিবীর ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস, রাজনীতির বই। আমাদেরকে অনেক বেশি পড়তে হয় বিজ্ঞানের বই।’
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তিনি বলেন ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা বলার সময় আয়ের বৈষম্য দূরীকরণ নিয়েও আমাদের কথা বলা প্রয়োজন। আগামীতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উন্নয়ন যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন অগ্রগতি। এজন্য আয়ের বৈষম্য দূর করতে হবে।’