নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬ শতক জমি কিনবে। যেখানে প্রতি শতক জমির মূল্য তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আর এ জমি নিবন্ধন ও অন্যান্য খরচ বাবদ লাগবে মোট ছয় লাখ ৪৫ হাজার টাকা অর্থাৎ জমি কেনা ও নিবন্ধন বাবদ মোট ৬৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লাগবে।
এদিকে সম্প্রতি চীন থেকে নতুন ব্র্যান্ডের পিইটি শিট লাইন এবং পিইটি ট্রে তৈরির যন্ত্রপাতি আমদানি করবে বলে জানায় খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুরে অবস্থিত কোম্পানিটির বিস্কুট ও কনফেকশনারি কারখানায় পিইটি শিট এবং পিইটি ট্রে তৈরির জন্য যন্ত্রপাতি আমদানি করা হবে। পিইটি কো-এক্সট্র–শন শিট, এক্সট্র–শন লাইন সঙ্গে এক্সট্র–ডার, প্রিহিটিং সিস্টেম, মাস্টার ব্যাচ, ডোজিং ইউনিট, গøাস হিটার, এনকোডার মোটর, ইনভার্টার, টাচ স্ক্রিন প্রভৃতি আমদানি করতে কোম্পানির ব্যয় হবে তিন কোটি ৬৮ লাখ ১১ হাজার টাকা। পিইটি শিটে প্রতি ঘণ্টায় উৎপাদন ক্ষমতা ৪৮০ থেকে ৫০০ কেজি। এছাড়া সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় তিনটি স্টেশন, থার্মোফর্মিং মেশিন, ইলেকট্রিক লিফটার, ক্ল্যাম্পিং সিলিন্ডার, শিট ফিটিংসহ সার্ভো মোটর সঙ্গে ড্রাইভ শিট ফিডিং, ফর্মিং ও কাটিং, স্ট্যাকিং এবং ভ্যাকুম ইউনিট তৈরির জন্য এক কোটি ২৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয় করা হবে। নতুন এই যন্ত্রপাতি স্থাপনের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০০ টন পণ্য উৎপাদন করতে পারবে কোম্পানিটি।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ বা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৮৬ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৮৫ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪১ হাজার ২৮৬ শেয়ার মোট ২১৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৮৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৮৭ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১২৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২০৭ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১৯৯ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮৬ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৫২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১০ টাকা ১৩ পয়সা, আর ২০১৯ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ২২ পয়সা।