নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় আট লাখ ১৬ হাজার টাকা ব্যয়ে এক দশমিক ৭৫ ডেসিমেল জমি কিনবে।
সম্প্রতি অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালনা পর্ষদ নতুন মেশিনারিজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি এক দশমিক ৮০ মিটার প্রস্থের ক্র্যাকার অ্যান্ড হার্ড বিস্কুট লাইন, প্যাকেজিং মেশিনারি সঙ্গে আনুষঙ্গিক জিনিস, ময়দা ও চিনি হ্যান্ডলিং সিস্টেম এবং গ্যাস জেনারেটর প্রভৃতি মেশিনারিজ ইতালি, চীন, হংকং, ভারত এবং কিছু আইটেম স্থানীয় উৎস থেকে সংগ্রহ করবে। এসব যন্ত্রপাতি আমদানি করতে কোম্পানিটির ৪২ কোটি টাকা ব্যয় হবে। কোম্পানির নগদ অর্থ এবং ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে এ অর্থ জোগান দেয়া হবে বলে কোম্পানিটি জানিয়েছে। এর মাধ্যমে বছরে ১২ হাজার ৪৪২ মেট্রিক টন নতুন প্রিমিয়াম ধরনের ক্র্যাকার এবং হার্ড ডো বিস্কুট উৎপাদন করবে। আর নতুন মেশিনারি ও বিদ্যমান কার্যক্ষমতার মাধ্যমে কোম্পানিটি বছরে এক লাখ ২৯ হাজার ৬৫৬ মেট্রিক টন বিস্কুট উৎপাদন করতে পারবে। পরিচালনা পর্ষদের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কোম্পানিটির ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, পণ্যের মান উন্নত এবং স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে কোম্পানির সার্বিক উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে যে, কোম্পানির বিদেশি শেয়ারহোল্ডার কিংসওয়ে ফান্ড ‘ফ্রন্টিয়ার কনজুমার ফ্রাঞ্চাইজি’ অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের দুই কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার ৯৫২ শেয়ার অর্থাৎ ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছে। আর ‘ফ্রন্টিয়ার কনজ্যুমার ফ্রাঞ্চাইজি’ তানভীর আলীকে পর্ষদে মনোনীত পরিচালক নির্বাচিত করে এবং কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনও দিয়েছে।
২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৫২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১০ টাকা ১৩ পয়সা, আর ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ২২ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে আট টাকা ৮৪ পয়সা।
১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ১৯৯ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬২৪ কোটি ২২ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮৬ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।