Print Date & Time : 16 June 2025 Monday 8:42 pm

জমি কিনবে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, রাজধানীর বসুন্ধরা বারিধার আবাসিক এলাকায় ১২ দশমিক ২৫ কাঠা জমি কিনবে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রতি কাঠা ৯৪ লাখ টাকা হিসেবে মোট ১১ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট (প্রা.) লিমিটেডের কাছ থেকে এই জমি কিনবে কোম্পানিটি।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর এলাকায় কোম্পানিটির বিস্কুট ও কনফেকশনারি কারখানার কাছে ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ জমি কিনতে মোট ১৫ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয় হবে। তবে জমির নিবন্ধনসহ অন্য সব খরচ কোম্পানিকেই বহন করতে হবে।

উল্লেখ্য, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ১৯৯ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮০২ কোটি ১৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮৬ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৮ দশমিক ২০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে ২৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১১ দশমিক ০৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২ টাকা ৪ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় ৮ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৮৮ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ৫৮ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা। এছাড়া প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮ টাকা ১৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫ টাকা ৮৫ পয়সা।

২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭ টাকা ৭৮ পয়সা, আর ২০২৩ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা ১২ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬ টাকা ৯৫ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৪৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয় ৬ টাকা ৩ পয়সা, আর ২০২২ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য ছিল ৪৬ টাকা ৮৪ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ৩ টাকা ৫১ পয়সা।

গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর ৫ দশমিক ১১ শতাংশ বা ৮ টাকা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৬১ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৫৮ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৭২ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়। দিনজুড়ে তিন লাখ ২৮ হাজার ২৯০টি শেয়ার মোট ১ হাজার ২৮৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১১৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২১৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।