নিজস্ব প্রতিবেদক: ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি রেনাটা লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে অবস্থিত ডগরিতে ১৭৩ শতাংশ এবং টাঙ্গাইল সদরে অবস্থিত কানডিলাতে ১৩৬ শতাংশ জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে আনুমানিক মোট খরচ পড়বে যথাক্রমে আট কোটি ৩৭ লাখ টাকা এবং চার কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এদিকে রেনাটা লিমিটেডের সঙ্গে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি রেনেটা অনকোলজি লিমিটেডের একীভূত করার অনুমোদন দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে একীভূত করার অনুমোদন দেয় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। এছাড়া ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত উভয় প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী নিট সম্পদমূল্যের ভিত্তিতে রেনেটা অনকোলজির বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে রেনেটা লিমিটেডের শূন্য দশমিক শূন্য দুটি শেয়ার পাবে। অর্থাৎ রেনেটা অনকোলজির বিনিয়োগকারীরা প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে রেনেটা লিমিটেডের দুটি শেয়ার পাবেন। শেয়ার বিনিময়সহ, একত্রীকরণের খসড়ারও অনুমোদন দিয়েছে পর্ষদ। একইসঙ্গে কোম্পানি আইন, ১৯৯৪-এর ২২৮ ও ২২৯নং ধারা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন থেকে অনুমোদনের জন্য খসড়া আবেদনপত্রেরও অনুমোদন দিয়েছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।
আর বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটি আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টায় মিরপুর সেকশন ৭-এর মিল্কভিটা রোডে অবস্থিত রেনেটা লিমিটেডের কার্যালয়ে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৮ জানুয়ারি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০০ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৪৬ টাকা ৬৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৩০ টাকা ৯০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫২ টাকা ৫৪ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য এবং দুই কোম্পানির একীভূতকরণ-সংক্রান্ত বিষয়ে আগামী ২১ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় করপোরেট হেড কোয়ার্টার প্রাঙ্গণ, প্লট নং-১, মিল্ক ভিটা রোড, সেকশন-৭, মিরপুরে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১২ টাকা ৭৮ পয়সা, আগের বছর একই সময় যা ছিল ১০ টাকা ৪৬ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৪৩ টাকা ৫৮ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ২৩০ টাকা ৯০ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ১৯ টাকা সাত পয়সা ছিল।