নিজস্ব প্রতিবেদক: আবারও জমে উঠছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাকসেশন) অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন। আগামী ২৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সেলিব্রিটি হলে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৩ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অপূর্ব কান্তি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিল ঘোষণার পর থেকে আড়মোড়া ভেঙে আবারও উদ্দীপনায় মাতছেন ট্যাক্স ক্যাডার কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে অনেকেই প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শুরু করেছেন প্রচারণা। কমিশনের বিধি-নিষেধ থাকায় কোনো ধরনের ব্যানার ও ফেস্টুন ছাপানো হচ্ছে না। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অনেকেই ভোটারদের দোয়া চাচ্ছেন। এবার দ্বিতীয়বারের মতো ভোটাররা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করার সুযোগ পাচ্ছেন।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৪ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৩টায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচিতরা ২০২০-২১ দুই বছর দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গত ১ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা, নির্বাচনযোগ্য পদ ও আসনসংখ্যার তালিকা প্রকাশ করা হয়। ২ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে, চলবে ৮ জানুয়ারি বিকাল ৫টা পর্যন্ত। আগামী ৫ জানুয়ারি ভোটার তালিকার বিষয়ে আপত্তি দাখিলের শেষ দিন। ৬ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১২ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৫ জানুয়ারি। খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৫ জানুয়ারি। একই দিন তালিকাসংক্রান্ত আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল করার শেষ তিন।
১৯ জানুয়ারি চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ শেষে ২৪ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। কোনো সদস্য পরিচয়পত্র দেখাতে না পারলে রিটার্নিং অফিসার সিদ্ধান্ত দেবেন। প্রত্যেক প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে নির্বাচনী আচরণ মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকারনামা দাখিল করতে হবে।
২৪ ডিসেম্বর নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, তফসিল ঘোষণার পর প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী বা তাদের পক্ষে কোনো সদস্য বা সদস্য নয়, এমন অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো নির্বাচনী সভা-সমাবেশের মাধ্যমে সদস্যদের উদ্দেশ করে কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না। প্রার্থীরা কোনো প্যানেল করতে পারবেন না। প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে কোনো দেয়াললিখন, ব্যানার, পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করা যাবে না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে ভোটারদের উপঢৌকন প্রদান বা রেস্টুরেন্ট ও কনভেনশন হলে অনুষ্ঠান করতে পারবেন না।