Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 3:44 pm

‘জমে থাকা গ্যাস থেকে সায়েন্স ল্যাবে বিস্ফোরণ’

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণের ঘটনা দুর্ঘটনা, এটা মেসিভ দুর্ঘটনা। এটা অন্য কোনো কারণে ঘটেছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত নাশকতার আলামত মেলেনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, দীর্ঘদিন জমে থাকা গ্যাসের কারণে এই বিস্ফোরণ।

সোমবার (৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস’র ভেতরে পল্লবী ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসি নাকি অন্য কিছু থেকে সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণ– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ‘দুর্ঘটনা নাকি অন্য কারণে সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণ তা জানতে আমি নিজে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছিলাম। তারা একটি টিম পাঠিয়েছিল। তাদের বোম ডিসপোজাল টিম জানিয়েছে, সেখানে নাশকতা বা বিস্ফোরক জাতীয় কোনও আলামত পাওয়া যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের জানামতে, নাশকতার কোনও আলামত পাইনি। এটা এখন পর্যন্ত তদন্তাধীন। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, সম্ভবত অনেকদিন এক জায়গায় জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত। এটা দুর্ঘটনা ছাড়া অন্য কিছু নয় বলে মনে হচ্ছে।’

পুরান ঢাকার নিমতলী ও চুরিহাট্টার ঘটনার পরও কেমিকেলের গোডাউন ও কারখানা সরানোর বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেন, ‘সরকার কেমিকেল গোডাউন সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কেমিকেল গোডাউন করা বা কারখানা স্থাপনের জন্য পুরান ঢাকায় কোনও এনওসি বা অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে এখনও যা হচ্ছে সম্পূর্ণ অবৈধ। ফায়ার সার্ভিসের কাজ হলো তদন্ত করা, মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা।’

ফায়ার সার্ভিস সবসময় সাধারণ মানুষের বিপদে পাশে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের রয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। আমরা বিদেশেও সফলতার স্বাক্ষর রেখেছি। আমাদের ফায়ার সার্ভিস তুরস্কেও ভূমিকম্পে হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করেছে। আমাদের প্রত্যেকটি ফায়ার ফাইটার প্রশিক্ষিত। আমাদের জনবলকে আরও দক্ষ ও প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। ভলান্টিয়ারদেরও আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।’

এর আগে, রবিবার (৫ মার্চ) সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে ওই ভবনের তিন তলায়। এতে তিন জন নিহত এবং আহত হন ১৫ জন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।