জয়পুরহাটে কাটিং-ফিটিং দর্জিদের বেড়েছে ব্যস্ততা

 

প্রতিনিধি, জয়পুরহাট : ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠতে শুরু করেছে জয়পুরহাটের বিভিন্ন মার্কেট, বিপণিবিতান, শপিংমল। দোকান ঘুরে ঘুরে ছোট থেকে বড়রা কিনছেন তাদের পছন্দের পোশাক। আর পছন্দের নতুন পোশাক নিজের দেহের সঙ্গে ফিটিং করে নিতে বা পোশাকে নিজস্বতা আনতে ছুটে যাচ্ছেন কাটিং ও ফিটিং মাস্টারদের (দর্জি) কাছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শহরের রেল লাইনের পশ্চিম পাশে হকার্স মার্কেটে সারি সারি সেলাই মেশিন নিয়ে বসে ক্রেতাদের নতুন পোশাক কাটিং ও ফিটিংয়ের কাজ করছেন দর্জিরা। ক্রেতারা তাদের দেহের মাপ অনুযায়ী ঈদের জন্য কেনা নতুন পোশাক কেটে ফিটিং করে নিচ্ছেন।

ঈদের পোশাক ফিটিং করতে আসা শহরের মাদ্রাসা পাড়ার ছামিউল আলম, আরাফাত নগরের ইমরান হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তারা  জানান, দুই বন্ধু এসেছিলেন ঈদের নতুন শার্ট শরীরের সঙ্গে ফিটিং করে নিতে। কথায় কথায় জানা গেল, তারা দু’জনই শিক্ষার্থী। ঈদের নতুন শার্টের ধরন দেহের মাপ অনুযায়ী একটু বড়। তাই তারা দু’জনেই এসেছিল নিজের দেহের মাপ অনুযায়ী শার্টগুলো ফিটিং করে নিতে। ছামিউল আলম বলেন, ঈদে তো নতুন শার্ট ও প্যান্ট পরে বন্ধুদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে বের হতে হয়। শার্ট যদি শরীরের সঙ্গে ঠিকমতো মানানসই না হয়, তাহলে তো দেখতে ভালো লাগবে না। তাই ঈদের সময় বাদেও শার্ট ও প্যান্ট ফিটিং করে পরলেই দেখতে ভালো লাগে। পাঞ্জাবি ফিটিং করতে আসা আরমান হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘পছন্দের পাঞ্জাবিটি একটু সাইজে বড়। তাই ফিটিং করে নিচ্ছি।’ জামা ফিটিং করতে আসা সাদ্দাম নামে এক স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী বলেন, রেডিমেড অনেক পোশাক ঢিল হয়। ঢিলেঢালা পোশাক পরলে নিজেকে মোটা দেখায়। তাই বেশির ভাগ জামা ফিটিং করেই পরে থাকি।

কথা হয় হর্কাস মার্কেটের আশরাফ আলী, ইরফান হোসেন, সাজুসহ বেশ কয়েকজন কাটিং ও ফিটিং মাস্টারদের (দর্জি) সঙ্গে। তারা জানান, একটি শার্ট ফিটিং করতে ৫০ টাকা, প্যান্ট ৭০ টাকা, পাঞ্জাবি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা ও গেঞ্জি ৪০ টাকা মজুরি নেন। কাটিং-ফিটিং মাস্টাররা আরও জানান, ঈদের সময় ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি মজুরি নেন তারা।

৭ বছর ধরে কাটিং ও ফিটিংয়ের কাজ করছেন লিটন ইসলাম। ঈদের সময় কাজের চাপ একটু বেশি থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, ক্রেতার শরীরের মাপ অনুযায়ী একটি পোশাক কেটে, সেই মাপে পোশাক সেলাই করেই ফিটিং করা হয়। এতে ক্রেতাদের পোশাক তাদের শরীরের সঠিক মাপ অনুযায়ী হয়ে থাকে। বিশ রোজার পর থেকে ঈদের পোশাকের কাটিং ও ফিটিংয়ের কাজের চাপ বেড়েছে বলে জানালেন ফিটিং মাস্টার আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ঈদের সাত দিন আগে দিন-রাত টানা ফিটিংয়ের কাজ করতে হয়। বিশ্রামের সময় পাওয়া যায় না। এজন্য আমরা ঈদের সময় ১০ থেকে ২০ টাকা মজুরিও বেশি নিয়ে থাকি।

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০