জয়পুরহাটে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী আলু

প্রতিনিধি, জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সীমান্তসংলগ্ন পূর্ব উচনা গ্রামের মাঠে ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে সূর্যমুখী আলুর জমি। ফলন ভালো হওয়ায় লাভের আশা করছেন আলুচাষিরা।

পূর্ব উচনা গ্রাম ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে উচ্চ ফলনশীল জাতের এস্টোরিক, গ্যানোলা, ডায়মন্ড, পাকরি আলু দেখা গেলেও এখন পাওয়া যাবে উচ্চ ফলনশীল জাতের আরেক আলু, নাম হচ্ছে সূর্যমুখী। ফলন যেন ভালো তেমনি খেতেও বেশ সুস্বাদু।

পূর্ব উচনা গ্রামের সাইদুর, রেজাউল ও জহিরুল এবার অন্যান্য আলুর পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে এক বিঘা জমিতে চাষ করেছেন সূর্যমুখী জাতের আলু। আলুর জমিতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সাইদুর। তিনি জানান, দেশি ও হলেন্ড জাতের আলু চাষের নিয়মেই সূর্যমুখী আলু চাষ করেছেন।

রেজাউল জানান, বাজারের বীজের পরিবর্তে বাড়িতে রাখা সূর্যমুখী জাতের আলুবীজ রোপণ করেছি। জহিরুল জানান, আলুর জমিতে কীটনাশকের পরিবর্তে গোবর সার ব্যবহার করেছি। আলুগাছে এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা যায়নি। ফুলে ফুলে আলুগাছগুলো ভরে ওঠায় দেখতে বেশ লাগছে। ভালো ফলন পাওয়া যাবে এমন আশার কথা জানান, সূর্যমুখী আলুচাষি জহিরুল, রেজাউল ও সাইদুর। এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী আলু চাষ করতে ১৫ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। বাজারে আলুর দাম ভালো হওয়ায় অধিক লাভ হবে বলেও জানান, জহিরুল ও সাইদুর।

পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. লুৎফর রহমান বলেন, দেশে বর্তমানে উচ্চ ফলনশীল জাতের এস্টোরিক, ডায়মন্ড, গ্যানুলা, মিউজিকা, রোজেটা, ভ্যালেনসিয়া, সান-সাইন এবং স্থানীয়ভাবে রোমানা ও পাকরি জাতের আলু চাষ হলেও সূর্যমুখী জাতের আলু নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে কৃষকদের। চাষ পদ্ধতি একই রকম। অধিক ফলন ও খেতে অন্যান্য সাধারণ আলুর মতোই। আবার বাজারে দামও ভালো। সেখানে জেলার পাঁচবিবি উপজেলার সীমান্তসংলগ্ন পূর্ব উচনা গ্রামের কৃষক জহিরুল, সাইদুর ও রেজাউল নামে তিন কৃষক এবার বাণিজ্যিকভাবে ওই সূর্যমুখী আলুর চাষ করেছে। ফলন ও দাম ভালো পাবেন এমন আশার কথা জানিয়েছেন কৃষকরা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০