প্রতিনিধি, জয়পুরহাট : বগুড়া-জয়পুরহাট সড়কের উন্নয়নকাজ অসমাপ্ত রাখায় সড়কটির হিচমি থেকে কোমরগ্রাম পর্যন্ত ইট বিছানো প্রায় এক কিলোমিটার অংশের রাস্তায় ইট ভেঙে সড়কে ছোট বড় গর্ত হয়েছে। এতে করে প্রায় তিন বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ।
জয়পুরহাট জেলা সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা গেছে, এ কাজের ঠিকাদারি পান নাভানা কনস্ট্রাকশন। এ কাজে বরাদ্দ হয় ৪৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের ২৭ জুন জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের মাটির ঘর থেকে জয়পুরহাট শহরের রেলগেট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার অংশে ১৮ ফুট থেকে ২৪ ফুট প্রশস্ত করার জন্য।
নাভানা কনস্ট্রাকশন প্রতিষ্ঠানটি জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের মাটির ঘর থেকে বানিয়াপাড়া পর্যন্ত মাত্র তিন কিলোমিটার অংশ প্রশস্ত ও আংশিক কার্পেটিং করে। পরে সড়কটির কোমরগ্রাম থেকে হিচমি পর্যন্ত এক কিলোমিটার অংশের পুরনো কার্পেটিং তুলে কাজ ফেলে রেখে চলে যায় ও প্রতিষ্ঠানটি। পরে ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নাভানা কনস্ট্রাকশনটিকে সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা করে সড়ক বিভাগ। পরে আবার জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণে বরাদ্দ হয় ৫১ কোটি টাকা। এ কাজে যৌথভাবে অসমাপ্ত কাজের দায়িত্ব পায় রিলায়েবল বিল্ডার্স ও হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সূত্র জানায়, কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে আবারও ২০২২ সালের ২০ জুলাই কার্যাদেশও দেয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী চলতি জুন মাসে কাজটি
শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এখনও শুরুই হয়নি কাজ।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সাজ্জাদ কাদির খান জানান, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি শুরু করার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করছি, বর্ষা শুরুর আগেই সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৌম্য তালুকদার বলেন, বগুড়া-জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের অসমাপ্ত কাজ আগামী বর্ষার আগেই শুরু করা হবে। কাজটি শেষ করার নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলেও সময় বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যেই কাজটি সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।