Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 10:28 pm

জরাজীর্ণ ভবন থাকবে না: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের জরাজীর্ণ সব সরকারি ভবন ভেঙে ভূমিকম্প সহনীয় করে নির্মাণের পরিকল্পনা জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেছেন, জরাজীর্ণ ভবন ভেঙে ফেলব। জাপানের সহায়তায় ভ‚মিকম্প সহনীয় নকশায় এগুলো নতুন করে তৈরি করা হবে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’-এ অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এনামুর রহমান বলেন, নকশা এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে করে ভবনগুলো ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভ‚মিকম্প সহনীয় হয়ে ওঠে। আর ইতোমধ্যে যেগুলো তৈরি হয়েছে সেগুলো আমরা পরীক্ষা করব, যদি কোনো দুর্বলতা থাকে তাহলে সেগুলো শক্তিশালী করা হবে। নতুন যে ভবনগুলো এখন থেকে তৈরি হবে, এগুলো তৈরি হবে বিএমডিসি কোড অনুযায়ী।

তবে প্রত্নতত্ত¡ অধিদপ্তরের ‘ঐতিহ্য’ ঘোষণা করা ভবনগুলোকে তালিকায় রাখা হয়নি বলে জানান তিনি। যেগুলো হেরিটেজ হিসেবে আছে, সেগুলো ‘স্পেসিফিক’ কাজে আছে। আমরা যেগুলোর কথা বলছি, আবাসিক ভবনের কথা, যেখানে মানুষ বাস করছে। একইসঙ্গে বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে আশ্রয়কেন্দ্র ও লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়ার কথাও বলেন প্রতিমন্ত্রী।

গত বছর পর্যন্ত বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে আমরা কোনো ভূমিকা পালন করতে পারিনি। এখন উদ্যোগ নিয়েছি, সিদ্ধান্ত নিয়েছি বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে সচেতনতা প্রচারণা ও আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম চালু করব।

৪০ মিনিট আগেই মোবাইল অ্যাপে সতর্ক করতে পারবে। খোলা জায়গায় যারা থাকবে, তাদের জন্য ছোট করে লাইটনিং সেন্টার ও লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপন করা হবে। ডিপিপি অনুমোদন হলে শুরু করব। পরীক্ষামূলকভাবে ৪০টি বসানো হয়েছে।’ বজ্রপাত থেকে বাঁচাতে সরকার দেশজুড়ে এক কোটি তালগাছ লাগানোর যে পরিকল্পনা নিয়েছিল তা বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৩৮ লাখের মতো তালগাছ লাগানোর পর দেখা গেল, যতেœর অভাবে মারা যাচ্ছে। তাই এটা বাতিল করে দিয়েছি। আর একটি তালগাছ বড় হতে ৩০ থেকে ৪০ বছর সময় লাগে।