নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট ও বিপণিবিতানগুলোয় জরিপ চালাতে মাঠে নামছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। গাউছিয়াসহ আরও কিছু মার্কেটকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলছে এ বাহিনী।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঢাকার কাপড়ের সবচেয়ে বড় মার্কেট বঙ্গবাজার পুড়ে ছাই হওয়ার পরের দিন গতকাল বুধবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন সদর দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
আজ বৃহস্পতিবার থেকে ফায়ার সার্ভিস এ জরিপ শুরু করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে রাজধানী সুপার মার্কেট, গাউছিয়াসহ বেশ কিছু মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে এসব মার্কেটে জরিপ শুরু হবে। জরিপের ফলাফল তাৎক্ষণিকভাবেই জানানো হবে।’
অগ্নিকাণ্ডে বঙ্গবাজার ভস্মীভূত হওয়ার এক দিন পরও লাগোয়া এনেক্সকো টাওয়ারের আগুন নেভানোর কাজ শেষ হয়নি। ওই ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ফায়ার সার্ভিসের দল সকাল থেকে ঘটনাস্থলে কাজ করছে। মই দিয়ে পঞ্চম থেকে ওপরের তলাগুলোয় তারা পানি ছিটাচ্ছেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘এনেক্সকো টাওয়ারে এখনও ১২টি ইউনিট কাজ করছে। যেখানেই আগুনের আলামত দেখা যাচ্ছে সেখানেই পানি ছিটানো হচ্ছে। মালামাল সরিয়ে আগুন নিভানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।’
বঙ্গবাজারে গত মঙ্গলবার সকাল ৬টা আগুন লাগার পর দুই মিনিটের মধ্যে সেখানে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছে গেলেও ‘সর্বনাশ’ ঠেকানো যায়নি। বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে টিন ও কাঠ দিয়ে তৈরি দোকানগুলোয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুনের ভয়াবহতা বাড়ে এবং ফায়ার সার্ভিসও তাদের ইউনিটের সংখ্যা বাড়াতে থাকে। বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীও যোগ দেয় সেই কাজে, ছিল পুলিশ, র্যাব এবং আনসারও। পানি ছিটাতে থাকে হেলিকপ্টারও। অগ্নিকাণ্ডের সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও বিভিন্ন স্থানে শিখা দেখা যাচ্ছিল। এমনকি রাতেও দুটি স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে, তা নেভাতে কাজ করে যান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
আগুনে বঙ্গবাজার মার্কেট, মহানগর মার্কেট, আদর্শ মার্কেট ও গুলিস্তান মার্কেট পুরোপুরি ভস¥ীভূত হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের এনেক্সকো টাওয়ার এবং আরও কিছু ভবন।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ২০১৯ সালে বঙ্গবাজার মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ বলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে নোটিস টাঙিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সতর্ক হয়নি।
