আপনি যে চাপ ও আবেগ অনুভব করছেন, তা সামাল দিতে আপনার নিজের জন্য হয়তো আলাদা করে তেমন সময় বের করা সম্ভব নাও হতে পারে।
আপনি কখন খুব চাপ অনুভব করছেন বা বিপর্যস্ত বোধ করছেন তা খেয়াল করুন এবং বিরতি নিন… এমনকি তিনবার গভীরভাবে নিঃশ্বাস নেওয়াও পার্থক্য তৈরি করতে পারে! লাখ লাখ পরিবার জানিয়েছে, এই পদ্ধতি কাজে দেয়।
ইতিবাচক থাকা, একটি রুটিনের মধ্যে থাকা এবং যখনই সম্ভব প্রতিটি সন্তানের সঙ্গে আলাদা করে সময় দেওয়ার চেষ্টা করলে তা আপনার সন্তানদের আচরণ ও আপনার অনুভূতি সামাল দিতে সহায়ক হতে পারে।
প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতিপালন: এই কঠিন ও অনিশ্চিত সময়ে প্রতিবন্ধী কিংবা শারীরিকভাবে অক্ষম শিশুসহ সব শিশুর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, যতœ দরকার এবং তাদের সময় দেওয়া প্রয়োজন।
শিশুকে নিরাপদ রাখুন: সন্তানকে ঘরের ভেতরে এবং বাইরে উভয় পরিমণ্ডলেই যথাসম্ভব সক্রিয় থাকতে সহায়তা করার সময় কভিডের স্থানীয় নির্দেশিকা কঠোরভাবে অনুসরণ করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। কভিডের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে আপনার এলাকার স্থানীয় সহায়তা দল কোনো সাহায্য করছে কি না, তা জেনে নিন। জরুরি যোগাযোগের নম্বরগুলো এমন জায়গায় রাখুন যেখানে সহজেই আপনি এগুলো দেখতে পারবেন, যেমন ফ্রিজের দরজায় লাগিয়ে রাখুন।
সম্ভব হলে সাহায্য চান: আপনার কাজের চাপ পরিবারের অন্য বড় সদস্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিন।
আপনি একা নন! আপনার পরিস্থিতি বোঝে এমন লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। আপনার চ্যালেঞ্জ ও সাফল্যগুলো তাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করুন।
এই সময়ে মানসিক চাপ অনুভব করা এবং হতাশাগ্রস্ত হওয়া ও ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। নিজের প্রতি সদয় হোন এবং যখন আপনার প্রয়োজন হবে একটি বিরতি নিন।
স্নেহময় হোন: সন্তান সাধারণত যে ধরনের সমর্থন পায়, তা তারা নাও পেতে পারে এবং এটি তাদের মধ্যে বাড়তি চাপ, উদ্বেগ ও হতাশা তৈরি করতে পারে। সন্তান যাতে নিজেকে গ্রহণযোগ্য এবং পছন্দনীয় হিসেবে ভাবে সেজন্য তাকে সহায়তায় শারীরিক ও মৌখিক সমর্থন দিন। ইতিবাচক শারীরিক ভাষা, অঙ্গভঙ্গি ও শব্দচয়ন বড় পার্থক্য তৈরি করে!
সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ বা আলাপচারিতার সময় তার স্তরে নেমে আসুন। সন্তানের চোখে চোখ রাখুন এবং তার সঙ্গে ইতিবাচক আচরণ বজায় রাখুন। শিশুকে কথোপকথনের সুযোগ দেওয়ার জন্য সময় নিন। পর্যবেক্ষণ করুন, শুনুন এবং নিশ্চিত হোন যে, আপনি আপনার সন্তানকে বুঝতে পেরেছেন।
ইউনিসেফের তথ্য অবলম্বনে
