শেয়ার বিজ ডেস্ক: তীব্র গরমে প্রতি বছর অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেক শিশু। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা অনেক শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো, বায়ুদূষণ ও মারাত্মক আবহাওয়ার মতো বিষয়গুলো এবং দূষিত পানি ও চরম তাপমাত্রা শিশু স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপক ও ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি তৈরি করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা সাময়িকী নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন। খবর: সিএনএন।
গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান লেখক কলাম্বিয়া সেন্টার ফর চিলড্রেনস এনভায়রনমেন্ট হেলথের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফ্রেডেরিকা পেরেরা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানিতে এই গ্রহের অত্যধিক নির্ভরতা ও শিশুস্বাস্থ্যের মধ্যে যোগসূত্র দেখানোই শুধু গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল না, বরং বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সীদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয় থেকে সমাধানের উপায়গুলোও তুলে ধরাও এর লক্ষ্য ছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জলবায়ু প্রভাবের সম্পূর্ণ পরিসরটি দেখেছি, যা শিশুদের জরুরি বিভাগে পাঠাচ্ছে এবং সেই তালিকা বড় হচ্ছে। তাই আমি সবকিছু পর্যালোচনায় রাখার
সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
গবেষণা নিবন্ধে বন্যার পাশাপাশি বায়ুদূষণসহ বেশ কয়েকটি চরম জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঘটনার রূপরেখা দেয়া হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হলো উচ্চ তাপমাত্রা। জলবায়ু সংকটের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে এখন জš§ নেয়া শিশুরা ৬০ বছর আগে জš§ নেয়া শিশুদের তুলনায় ৩৫ গুণ বেশি চরম তাপমাত্রা অনুভব করে।
ফ্রেডেরিকা বলেন, অভিভাবক ও প্রাপ্তবয়স্করা তাপমাত্রা বেড়ে গেলে নিজেদের শরীর বাঁচানোর কাজটা শিশুদের চেয়ে ভালোভাবে সামলাতে পারেন। তারা হয়তো গরমের কারণে কিছু সমস্যা বা অসুস্থতার উপসর্গ সহজে উপেক্ষা করতে পারেন, কিন্তু বাচ্চারা তা পারে না, তাদের ভুগতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বছরের পর বছর ধরে বলছেন, শিশু ও গর্ভবতী নারীরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর তালিকায় রয়েছেন। তাদের হিট স্ট্রোকের মতো তাপজনিত সমস্যার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
