আমানুর রহমান খোকন, কুড়িগ্রাম: জলাবদ্ধতায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের তিনটি মৌজায় প্রায় সাড়ে ৩০০ একর জমিতে বোরো আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। প্রতি বছর বন্যা-পরবর্তী এসিল্যান্ড ছড়ার পানি নেমে গেলে চাষিরা পলিচরে বোরো আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসতেন। এবারে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জমিতে হালচাষ করতে পারছেন না এই এলাকার কয়েকশ চাষি। পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থানীয় চাষিরা লিখিত আবেদন করেছেন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে।
গতকাল রোববার সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, হলোখানা ইউনিয়নের আরাজী পলাশবাড়ী, সুভারকুটি ও টাপুরচর মৌজার প্রায় সাড়ে ৩০০ একর জমি এবার চলতি বোরো মৌসুমে জলাবদ্ধতায় অনাবাদি পড়ে রয়েছে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ার কারণে চাষিরা এবার জমিতে হালচাষ করতে পারছেন না।
স্থানীয় কৃষক মন্তাজ আলী ও মো. ইব্রাহিম জানান, বন্যার পানি নেমে গেলে প্রতি বছর আমরা এসব জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসতাম। এবার চলতি বোরো মৌসুমে ছড়ার মুখ বন্ধ থাকায় পানি নিষ্কাশন হতে না পারায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশন না হলে চলতি বোরো মৌসুমে এসব জমিতে আমরা কোনো চাষাবাদ করতে পারব না। আবাদ করতে না পারলে পরিবার-পরিজন নিয়ে আমাদের অনাহারে থাকতে হবে।
এ বিষয়ে হলোখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, কৃষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটানোর জন্য দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে এ ইউনিয়নে ৩টি মৌজার সাড়ে ৩০০ একর জমি চলতি বোরো মৌসুমে অনাবাদি থাকবে। এতে করে কৃষক সমাজের মধ্যে দারিদ্র্য দেখা দেবে।
হলোখানা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. আব্দুল হামিদ বলেন, স্থানীয় কৃষকরা এসিল্যান্ড ছড়ার পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের লিখিত আবেদন করেছেন। স্থানীয় কৃষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের দাবি জানান তিনি। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য কৃষকদের আবেদন পেয়েছি। এ এলাকায় পানি নিষ্কাশন জরুরি। তা না হলে বোরো আবাদ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। নির্দেশনা পেলে বিধান অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।