Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 3:11 pm

জলাবদ্ধতা সরকারের মেগা উন্নয়নের ফল: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৃষ্টিপাতে রাজধানীসহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা সরকারের মেগা উন্নয়নের ফল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল মঙ্গলবার দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার ১৮তম প্রতিষ্ঠবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক কষ্ট করে এখানে এসেছি। আপনারা জানেন, আজকে উত্তরার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। ডিএমপি কমিশনার একটা সার্কুলার দিয়েছেন, এ সড়ক ব্যবহার না করার জন্য। গতকাল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ফলে যে বৃষ্টিপাত হয়েছে, তাতে এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর পর্যন্ত এই রাস্তাটি আর চলাচলের উপযোগী নয়। আমি বেশ কিছুদিন ধরে বলে আসছি এ রাস্তাটার কথা। এই যে মেগা প্রজেক্ট, মেগা উন্নয়ন, তার একটা ফলাফল, সেজন্য আজকে এই অবস্থা। কথাটা এজন্য বললাম যে, আজকে এই (জলাবদ্ধতা) বর্তমান অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, এই তাদের মেগা উন্নয়নের কারণেই।

উত্তরার বাসায় কীভাবে যাবেন, তা নিয়ে নিজের দুশ্চিন্তার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি জানি না আমি এখন ফিরব কী করে? তারপরও ধরে নিচ্ছি, অন্য বিকল্প রাস্তায় ফিরতে হবে। 

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় রাজধানীর খিলক্ষেত ও উত্তরা-বিমানবন্দর এলাকায় ভয়াবহ যানজট দেখা দেয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া উত্তরা যাওয়ার পথ ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।

বিএনপি সাংবিধানিক কমিশন করবে বলে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে যে আশা, যে স্বপ্ন, যে আকাক্সক্ষা আমরা দেখেছিলাম, সেটাকে বাস্তবায়িত করার জন্য আজকে প্রয়োজন যারা আমাদের স্বপ্নগুলোকে ভেঙে দিচ্ছে, যারা আমাদের সব অধিকার কেড়ে নিচ্ছেÑএখানে একজন সাবেক বিচারপতি সাহেব বলেছেন, সংবিধান মেনে চলতে হবে। কোন সংবিধান, আমি জানতে চাই পরিষ্কার করেÑযে সংবিধানে আমার অধিকার হরণ করা হয়েছে, যে সংবিধানের মধ্যে কেটেছেঁটে তিনটি অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, এটা কোনোদিন পরিবর্তন করা যাবে না। 

তিনি বলেন, আমরা বলেছি খুব পরিষ্কারভাবে যে, আমরা সাংবিধানিক কমিশন তৈরি করব। যদি আমরা জনগণের ম্যানডেটে বিজয় অর্জন করতে পারি, সাংবিধানিক কমিশন তৈরি করে আমরা সেই অগণতান্ত্রিক, জনগণবিরোধী যেসব বিষয় সংযোজন করা হয়েছে, সেগুলো বাতিল করে জনগণের জন্য যেটা প্রয়োজন, ’৭২ সালে যেটা করা হয়েছিল, তার আশেপাশে নিয়ে সত্যিকার অর্থেই একটা যুগোপযোগী সংবিধান নিয়ে আসার চেষ্টা করব।

মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ জানাব, বাংলাদেশকে যেন আমরা সত্যিকার অর্থেই একটা অত্যন্ত প্রগতিশীল জনপদ হিসেবে তৈরি করতে পারি, আমরা যেন বাংলাদেশে মুক্ত চিন্তার যে অবস্থা, সেই অবস্থা সৃষ্টি করতে পারি।

অনুষ্ঠানে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইকতেদার আহমেদ, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, নয়া দিগন্তের ব্যারিস্টার শিব্বির মাহমুদ, আলমগীর মহিউদ্দিন, সালাহ উদ্দিন বাবর, মাসুমুর রহমান খলিলী, বিএনপির খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জহির উদ্দিন স্বপন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বর্তমান সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজের একাংশের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।