Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 4:22 pm

জাককানইবি’র অর্থনীতি বিভাগ পরীক্ষার ২১ মাসেও ফল বেরোয়নি

আহসান হাবীব, জাককানইবি: পরীক্ষার দীর্ঘ ২১ মাস পরও রেজাল্ট প্রকাশ হয়নি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) অর্থনীতি বিভাগের একটি ব্যাচের। বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্সে ভর্তি হওয়া ব্যাচটির প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হয় ২৯ অক্টোবর। সে বছর ২২ ডিসেম্বর শুরু হয় দ্বিতীয় সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা, যা শেষ হয় পরের বছর ২৮ জানুয়ারি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনোটিরই ফল প্রকাশ করতে পারেনি বিভাগটি।

২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর অনার্স প্রথমবর্ষে ভর্তি হওয়া এ ব্যাচটির ক্লাস শুরু হয় পরের বছর ২১ জানুয়ারি। সব ঠিক থাকলে ২০১৬ বা ২০১৭ সালে অনার্স ও ২০১৮ সালে মাস্টার্স শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। কিন্তু এখনও ফল প্রকাশ করতে পারেনি বিভাগটি।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পড়াশোনা করতে করতেই যদি চাকরির বয়স পেরিয়ে যায় তাহলে আর পড়াশোনা করে লাভ কি? বিভাগের চেয়ারম্যান ও উপাচার্য এর দায় এড়াতে পারেন না। সমস্যা আমাদের পিছু ছাড়ছে না। যদি এ অভিযোগ ইউজিসিতে জানানো যায়, তবে তা-ই করব।

এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। বিভাগের অন্য শিক্ষকদের এ প্রশ্নটি করা হলে তারা এড়িয়ে যান।

তবে অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনও ওই ব্যাচের পরীক্ষার কোনো তথ্য বা ফাইল এসে পৌঁছায়নি। আমাদের এখানে আসার ১৫ দিনের মধ্যে আমরা সব কাজ শেষ করি। এখানে ফাইল না আসলে আমাদের কিছু করার থাকে না’।

রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘কভিড পরিস্থিতিতে এটাকে শিক্ষকদের গাফিলতি বলা যায় না। মূলত বিভাগের সঙ্গে বিভিন্ন দপ্তরের সময়ের সামঞ্জস্য রাখা সম্ভব না হওয়ায় একটু দেরি হতে পারে।’

তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিভাগের শিক্ষকদের দায়িত্বের প্রতি গাফিলতির কারণে অর্থনীতি বিভাগে দীর্ঘদিনের এ সমস্যা কাটছে না। শুধু কভিডের কারণে নয়, আমাদের এই সমস্যা অনেকদিন ধরে। ২০১২ সালে অনার্সে ভর্তি হয়ে আট বছরেও মাস্টার্সের ফল পাইনি, ভাবা যায়! আর আমরা এই কথাগুলো ডিপার্টমেন্টে বলতেও পারি না। দয়া করে নাম প্রকাশ করবেন না, তাহলে রেজাল্টে প্রভাব পড়তে পারে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এমন দীর্ঘসূত্রতা কখনও কাম্য নয়। বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত এবং অতি দ্রুত ফল প্রকাশ করার জন্য আমি বলে দিয়েছি।’