নিজস্ব প্রতিবেদক: গতকাল শনিবার শুরু হয়েছে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৭। চলবে ১৭ মার্চ পর্যন্ত। ২০১৮ সালের মধ্যে মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে শুরু হয়েছে এবারের জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জাটকা ইলিশ ধরবো না, দেশের ক্ষতি করবো না’।
এদিকে জাটকা সপ্তাহ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর মৎস্য ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক বলেন, মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ স্থানে রয়েছে। সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে উৎপাদন প্রতি বছর বাড়ছে। আমাদের মাছে-ভাতে বাঙালি বলা হয়। আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি, ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মাছে-ভাতে স্বয়ংসম্পন্ন হবে।
এদিকে সম্মেলনে জানানো হয়, ইলিশ রক্ষায় কারেন্ট এবং বেহুন্দি জালসহ অন্যান্য অবৈধ জাল পোড়াতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৯০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ছায়েদুল হক বলেন, ইলিশের কাক্সিক্ষত উৎপাদন না পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ কারেন্ট ও বেহুন্দি জালসহ অন্যান্য অবৈধ জাল দিয়ে নির্বিচারে জাটকা নিধন। এটি রোধ করতে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় ৯০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। খুব শিগগিরই সংসদে প্রকল্পটির অনুমোদন হয়ে যাবে। তারপর সারা দেশে ইলিশ রক্ষায় জাল পোড়াতে অভিযান চালানো হবে।
তিনি আরও জানান, ইলিশ রক্ষা করতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও নোয়াখালীতে আইন রক্ষাকারী সংস্থার সহায়তায় সম্মিলিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ অভিযানে পাঁচ জেলায় ২৬৫টি মোবাইল কোর্ট ও ৪৮৯টি অভিযান পরিচালনা করে ৮৩৩টি বেহুন্দি জাল, ৩০.৬৯ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ও ৬৮৮টি অন্য জাল জব্দ করা হয়েছে। সে সঙ্গে চার লাখ ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করে ৪৪ জনকে জেল দেওয়া হয়েছে।
এদিকে প্রতি বছর ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যেখানে ইলিশ উৎপাদন ছিল দুই দশমিক ৯৯ লাখ টন, সেখানে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদন তিন দশমিক ৯৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকছুদুল হাসান খান, মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ ইয়াহিয়া মাহমুদ প্রমুখ।