Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 8:14 pm

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর সঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতির সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো গতকাল এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সঙ্গে এফবিসিসিআই ভবনে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে কভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের কারণে বাংলাদেশের বর্তমান আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর আলোচনা করা হয়। সভায় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন-পরবর্তী বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের সম্ভাবনা, ভূমিকা ও সক্ষমতা, উদ্ভাবনের সুযোগ, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, অর্থনৈতিক বহুমুখীকরণ এবং ইনক্লুসিভ ডিজিটাল অর্থনীতির পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই রূপে পুনর্র্নির্মাণে বেসরকারি খাতের অবদানের ওপর আলোকপাত করা হয়।

মিয়া সেপ্পো বলেন, জাতিসংঘ একটি মসৃণ ও টেকসই এলডিসি উত্তরণে কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে। জাতিসংঘ গ্র্যাজুয়েশনের প্রভাব যতটা কমিয়ে আনা সম্ভব তার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করার জন্য পরামর্শকের ভূমিকা পালন করছে। তিনি এও বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি সক্রিয় সদস্য। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের বড় অংশগ্রহণ রয়েছে এবং বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থীর আশ্রয়দানকারী দেশও বাংলাদেশ।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, এলডিসি উত্তরণ মূল্যায়নের দ্বিতীয় ত্রৈবাৎসরিক সূচকে বাংলাদেশ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক মহামারি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ ও অন্যান্য এলডিসি দেশসহ যারা এ বছর উত্তরণ করবে তাদের উত্তরণের সময়সীমা ৫ বছর বা তদূর্ধ্ব পর্যন্ত বর্ধিত করার জন্য আবেদন করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, এমএসএমই থেকে শুরু করে বৃহত্তম শিল্পে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ইকোসিস্টেমকে বিবেচনায় নিয়ে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন শেষে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখা, এসডিজি অর্জন এবং বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় খাতগুলোয় প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য এফবিসিসিআই ইউএন সিস্টেমকে অনুরোধ করেছে। সহায়তার প্রধান ক্ষেত্রগুলো হবে গ্রামীণ অর্থনীতি, শিল্প ও বাজারের বৈচিত্র্যকরণ, মানসম্মতকরণ, নারী ও যুব উদ্যোক্তাদের জন্য সুবিধাদি বৃদ্ধি, সংগতিসাধন, উদ্ভাবন এবং অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে প্রযুক্তি সক্রিয়করণ।