শেয়ার বিজ ডেস্ক : জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আরোপিত সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ বলে মনে করছে উত্তর কোরিয়া। গতকাল রোববার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ দাবি করে নিষেধাজ্ঞায় সমর্থনকারীদের শাস্তির হুমকিও দেওয়া হয়। খবর রয়টার্স।
উত্তর কোরিয়ার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে নিরাপত্তা পরিষদ দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ওই নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবটিতে উত্তর কোরিয়ার পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্য ও অপরিশোধিত খনিজ তেল আমদানি ৯০ শতাংশ হ্রাস করার কথা বলা হয়েছে।
এর আগে থেকেই দেশটির ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র তাদের পরমাণু শক্তি দেখে ভয় পেয়েছে, তাই আমাদের দেশের ওপর কঠিন নিষেধাজ্ঞা ও চাপ সৃষ্টির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।’ নতুন প্রস্তাব উত্তর কোরিয়ার ওপর পুরোপুরি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার শামিল।
এতে আরও বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের অনুসারীদের পাতানো এ নিষেধাজ্ঞাকে আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে গণ্য করি। এটা কোরীয় উপদ্বীপ ও এ অঞ্চলের শান্তি-স্থিতিশীলতা ভঙ্গ করে। স্পষ্টভাবে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছি আমরা।’
উত্তর কোরিয়া গত ২৯ নভেম্বর আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম। দেশটি আত্মরক্ষার জন্য এ পরীক্ষা চালিয়েছে এবং এতে আন্তর্জাতিক আইনও ভঙ্গ হয়নি বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়। এতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি, ব্ল্যাকমেইল ও শত্রুভাবাপন্ন আচরণের কারণে তাদের শক্তির সঙ্গে ভারসাম্য আনতে হবে। এ জন্য আমরা নিজেদের প্রতিরক্ষায় পরমাণু কার্যক্রম আরও জোরদার করব।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এক সেকেন্ডের জন্যও ভুললে চলবে না যে, উত্তর কোরিয়া তার দেশের মূল ভূখণ্ডে পরমাণু হামলা চালাতে সক্ষম।’