শেয়ার বিজ ডেস্ক: আবারও জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ফিরল যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রকে জেনেভাভিত্তিক এ কাউন্সিলে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করে। এর মধ্য দিয়ে তিন বছরের বেশি সময় পর কাউন্সিলে ফিরল যুক্তরাষ্ট্র। খবর: রয়টার্স।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়। তখন ট্রাম্প মানবাধিকার কাউন্সিলের বিরুদ্ধে ইসরাইলবিরোধী ধারাবাহিক পক্ষপাতের অভিযোগ আনে। একই সঙ্গে সংস্থাটির সংস্কারের অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ তোলে।
জানা যায়, ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে গোপন ভোট হয়। ভোটে যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিরোধিতা ছাড়াই ১৬৮ ভোট পেয়ে কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তিন বছরের (২০২২-২৪) মেয়াদ শুরু।
২০২০ সালে নির্বাচনে জো বাইডেন প্রতিশ্রুতি দেন, তার পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে থাকবে মানবাধিকার। তার প্রশাসন হংকং, তাইওয়ান, জিনজিয়াং প্রভৃতি ইস্যুতে চীনের সমালোচনায় সরব রয়েছে, একই সঙ্গে রাশিয়ারও সমালোচনা করছে ওয়াশিংটন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড জানান, ওয়াশিংটন প্রাথমিকভাবে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চীন, ইথিওপিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনের মতো দেশগুলোর শোচনীয় পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে মনোযোগ দেবে।
মানবাধিকার কাউন্সিলে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ভৌগোলিক গ্রুপে সদস্য নির্বাচিত হয়। বৃহস্পতিবার ১৩ নতুন সদস্য নির্বাচন এবং পাঁচ সদস্যের পুনর্নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না। এ কাউন্সিলে কোনো দেশ টানা দুবারের বেশি সদস্য থাকতে পারে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজাখস্তান, গাম্বিয়া, বেনিন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, প্যারাগুয়ে, হন্ডুরাস, লুক্সেমবার্গ, ফিনল্যান্ড, মন্টেনেগ্রো ও লিথুয়ানিয়া নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়া আবার সদস্য নির্বাচিত হয়েছে ক্যামেরুন, ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, ভারত ও আর্জেন্টিনা।
২০০৬ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল গঠিত হয়। জেনেভাভিত্তিক এ কাউন্সিলের লক্ষ্য বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সমুন্নত ও সুরক্ষা প্রদান।