টেলিযোগাযোগের উৎকর্ষ সাধন ব্যতীত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর সমাজ গড়া সম্ভব নয়। বর্তমান সরকার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে, এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টের পাশাপাশি ইন্টারনেট ও অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিসেবা দেশের নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করা।
আগামী ১৭ মে উদ্যাপন হবে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। দিবসটি উপলক্ষে ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের (ইউআইটিএস) বারিধারা ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয়েছে অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতা ও হ্যাকাথন। ‘ডেটা প্রবাহ কীভাবে সমাজকে উন্নত করতে পারে’ শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতার জন্য দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রচনা আহ্বান করা হয়েছে।
হ্যাকাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত তিনটি দল ও অনলাইনে রচনা প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে দুটি বিভাগ থেকে ছয়জনকে দিবসটির মূল অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করা হবে।
তথ্যপ্রযুক্তির কারণে উন্নতি ঘটেছে জনজীবনে। এখন নিমিষেই নানা
সরকারি-বেসরকারি সুবিধা পাওয়া যায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনেক কাজ সহজে করা যায়। পাসপোর্ট ও ভিসা সংক্রান্ত তথ্য, পরীক্ষার ফল, অনলাইন ব্যাংকিং, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবহনসেবা, কৃষিসেবাসহ বর্তমানে প্রায় ২২০ ধরনের ই-সেবা মিলছে। ক্রমেই এর সংখ্যা ৭০০তে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ সফলতা হিসেবে বিবেচিত হবে মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্মীয়মাণ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ মহাকাশের উদ্দেশে রওনা হবে। এটি সফলভাবে উৎক্ষেপণ সম্ভব হলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে অনেকগুণ।