নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছর জানুয়ারিতে দেশে ৭০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ। ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। গতকাল সংস্থাটির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
ওই প্রতিবেদনের তথ্যমতে, এ বছর জানুয়ারিতে ১০৬ কন্যাশিশু নির্যাতন ও ১৬৬ নারী নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঘটনাসহ মোট ২৭২ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭০ জন, যাদের মধ্যে ৩৯ কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার, ছয় কন্যাশিশু দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, এক কন্যাশিশু ধর্ষণের পর হত্যা ও দুজন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ কন্যাশিশুসহ ১০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
মহিলা পরিষদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক কন্যাশিশুসহ তিনজন শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে। তিন কন্যাশিশুসহ পাঁচজন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে দুজন। ১২ কন্যাশিশুসহ ১৬ জন উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে। ছয় কন্যাশিশুসহ ১০ জন অপহরণের শিকার হয়েছে।
যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৮ জন। তাদের মধ্যে এক কন্যাশিশুসহ ১২ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে চার কন্যাশিশুসহ মোট ১৩ জন। বিভিন্ন কারণে পাঁচ কন্যাশিশুসহ ৪৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া ছয় কন্যাশিশুসহ ১৮ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
মহিলা পরিষদ জানায়, ছয় কন্যাশিশুসহ ৪৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এক কন্যাশিশুসহ চারজনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। চার কন্যাশিশুসহ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে ছয়জন। বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে চারটি। এ ছাড়া বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে অন্যরা।