নিজস্ব প্রতিবেদক: জানুয়ারিতে গ্যাসের দামবাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত মূল্যস্ফীতির চিত্র একটু উল্টো দিকেই। সংস্থাটির হিসাবে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির প্রবণতা আগের মাসের তুলনায় কমেছে। নতুন বছরের প্রথম মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে। এ নিয়ে টানা ছয় মাস দেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির প্রবণতা কমতির দিকে। গতকাল বিবিএস মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে। তাতে এমন চিত্র উঠে আসে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি কমার কারণ হিসেবে বলা যায় আমাদের সরবরাহ বাড়ছে। বিশেষ করে কৃষিপণ্যের সরবরাহ বাড়ছে এবং শিল্প খাতে উৎপাদন বাড়ছে।
বিবিএসের হিসাবে, মূল্যস্ফীতি কমলেও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি এখনও প্রায় দুই অঙ্কের কাছাকাছি। সর্বশেষ জানুয়ারি মাসে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর আগে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি ছিল গত আগস্টে। ওই মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠেছিল। এরপর প্রতি মাসে মূল্যস্ফীতি একটু একটু করে কমেছে বলে বিবিএসের তথ্যে তুলে ধরা হয়েছে।
এদিকে সরকারি হিসাবে মূল্যস্ফীতি কমলেও বাজারে জিনিসপত্রের দামে তার প্রতিফলন নেই। প্রতি সপ্তাহেই নতুন করে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ চলতি সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকা হয়েছে। আবার মূল্যস্ফীতির তথ্যের সঙ্গে বিবিএস ঢাকা শহরের চাল, ডালসহ কিছু পণ্যের দরদামের হিসাবও দিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সব ধরনের চালের দাম জানুয়ারিতে বেড়েছে। তা সত্ত্বেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে। এ কারণে বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হিসাব নিয়ে অর্থনীতিবিদরা সংশয় প্রকাশ করেছেন।