নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থনীতির সবচেয়ে ভালো সূচক প্রবাসীদের আয় তথা রেমিট্যান্সের গতি জানুয়ারি মাসে কিছুটা কমে গেছে। নতুন বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জানুয়ারিতে সরকারের নগদ প্রণোদনার কারণে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী মহামারিতে এক ধরনের অনিশ্চয়তার কারণে জমানো টাকা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। সবমিলিয়ে সংকটের মধ্যেও দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। তবে মহামারির কারণে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা কমে গেছে। তাই রেমিট্যান্সের প্রবাহ আগামীতে ধরে রাখা কঠিন হবে বলে বলছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। প্রবাসীরা দেশে ১০০ টাকা যার অ্যাকাউন্টে পাঠাচ্ছেন, তিনি ১০০ টাকার সঙ্গে ২ টাকা যোগ করে ১০২ টাকা তুলতে পারছেন। পাঁচ হাজার ডলার, অর্থাৎ পাঁচ লাখ টাকা আয়ে কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই দুই শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে রেমিট্যান্সের প্রণোদনা বাবদ তিন হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত করে অনেক ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে আরও এক শতাংশ বেশি প্রণোদনা দিচ্ছে। ফলে বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন এক হাজার ৪৯০ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে সাত মাসে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ১০৪ কোটি ডলার। এ হিসাবে সাত মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩০৫ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসে এক হাজার ৮৩৩ কোটি ডলার। ২০১৮ সালে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫৫৫ কোটি ডলার। ২০১৭ সালে এসেছিল এক হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে এসেছিল এক হাজার ৩৬১ কোটি ডলার। ২০১৫ সালে আসে এক হাজার ৫৩১ কোটি ডলার। ২০১৪ সালে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৪৯২ কোটি ডলার।