জানুয়ারিতে সৌদি আরবে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১.২%

শেয়ার বিজ ডেস্ক: চলতি বছর জানুয়ারিতে সৌদি আরবের মূল্যস্ফীতি এক দশমিক দুই শতাংশে স্থিতিশীল ছিল। অবশ্য গত বছরের তুলনায় এই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এ সময় পরিবহন খাত ও খাদ্যের দাম বাড়লেও মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল ছিল বলে জানায় দেশটির জেনারেল অথরিটি অব স্ট্যাটিসটিকস। খবর: আরব নিউজ।

গত বছর ডিসেম্বরেও প্রায় একই ছিল মূল্যস্ফীতি। এক প্রতিবেদনে কর্তৃপক্ষ জানায়, গত মাসে পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখা গেছে। তখন এ হার ছিল চার দশমিক নয় শতাংশের বেশি। আর খাদ্য ও পানীয়ের দাম বাড়ে দুই শতাংশের বেশি। এ ছাড়া অন্যসব খাত বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) দাম এক দশমিক দুই শতাংশের বেশি বাড়েনি বলে জানায় জেনারেল অথরিটি অব স্ট্যাটিসটিকস।

সৌদির সাধারণ ভোক্তা মূল্য সূচকে খাদ্য ও পানীয়ের অবদান রয়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ। তবে গত ডিসেম্বরে এ খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল এক দশমিক এক শতাংশ। জানুয়ারিতে যা এক লাফে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেল। ডিসেম্বরে মাংসের দাম বাড়ে শূন্য দশমিক এক শতাংশ, জানুয়ারিতে যা বেড়ে হয় শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ। সবজির দাম ছয় দশমিক তিন শতাংশ থেকে বেড়ে ১০ শতাংশ হয় এ সময়। দুধের দাম দুই দশমিক এক শতাংশ থেকে বেড়ে হয় পাঁচ দশমিক দুই শতাংশ। মাছ ও সমুদ্রজাতীয় খাদ্যের দাম শূন্য দশমিক নয় শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় দুই দশমিক সাত শতাংশে। ফলের দাম শূন্য দশমিক ছয় শতাংশ থেকে বেড়ে জানুয়ারিতে হয় দুই দশমিক সাত শতাংশ।

এদিকে সাধারণ ভোক্তা মূল্য সূচকে পরিবহন খাতের অবদান ১৩ শতাংশ। জানুয়ারিতে এ খাতেই তুলনামূলক বেশি দাম বেড়েছে। ডিসেম্বরের তুলনায় এ খাতের দাম কমে সাত দশমিক দুই শতাংশ থেকে নামে চার দশমিক নয় শতাংশে। এজন্য গ্যাসোলিনের দাম ৩৪ দশমিক পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধিকে দায়ী করা হয়েছে। তবে শিক্ষা খাতে ব্যয় বেড়েছে। ডিসেম্বরে এ খাতে চার দশমিক আট শতাংশ ব্যয় বাড়ে, যা জানুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়ায় ছয় দশমিক তিন শতাংশে। একই সময় আতিথেয়তা খাতেও ব্যয় বাড়েÑএক দশমিক আট শতাংশ থেকে বেড়ে হয় দুই দশমিক এক শতাংশ।

দেশটির পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, প্রতি মাসে খাদ্য ও পানীয়র দাম শূন্য দশমিক চার শতাংশ হারে বাড়ছে। গৃহসজ্জাসামগ্রী, গৃহস্থালি পণ্য ও রক্ষণাবেক্ষণের দাম বেড়েছে শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ। এসব পণ্য ভোক্তা মূল্য সূচকে সাত শতাংশ অবদান রাখে।

এ সপ্তাহের শুরুতে সৌদি সেন্ট্রাল ব্যাংক (সামা) জানায়, চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে সামান্য বাড়তে পারে মূল্যস্ফীতি। তবে অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার ওপর নির্ভর করছে এ পূর্বাভাস, এমনই জানিয়েছে সামা।

কভিড-১৯ মহামারিতে মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল রয়েছে সৌদি আরবে। এ ছাড়া মহামারির প্রকোপ সামলে ২০২১ সালে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশটি। গত বছর তাদের ত্রৈমাসিক বাজেটেও অর্থ উদ্বৃত্ত দেখা গেছে। এ সময় কমেছে বেকারত্বের হার। কিছু সূচকের অবস্থা মহামারির আগের সময়ের চেয়েও ভালো 

দেখা গেছে গত বছর। চলতি বছরও এমন আশা করছে সামা।

মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল রাখা কিংবা কমিয়ে আনা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য তেল রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। সৌদি সরকার ও অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর সৌদি অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হতে পারে। এই অর্থবছরে তাদের প্রবৃদ্ধি হতে পারে সাত দশমিক চার শতাংশ। কমবে মূল্যস্ফীতি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০