নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছরের প্রথম মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে এ মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ১৫ শতাংশে। আগের মাসে যা ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। মূলত খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
জানুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশে। আগের মাসে তা ছিল ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বাড়লেও কমেছে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি। ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমে এ মূল্যস্ফীতি ৩ দশমিক ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান। এ সময় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জানুয়ারি মাসে মোটা চালের দাম বেড়ে যাওয়া এবং স্কুলে বাচ্চাদের ভর্তির বিষয়টি থাকায় এ সময় ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। ফলে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়েছে। সাধারণত জানুয়ারি ও জুন মাসে আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
এদিকে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৯২ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৫২ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

Add Comment