শেয়ার বিজ ডেস্ক: এশিয়ার পুঁজিবাজারে গত বুধবার মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে জাপানের রপ্তানি ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, এই খবর প্রকাশের প্রভাব পড়ে এশিয়ার প্রধান পুঁজিবাজারগুলোয়। তবে এদিন টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক কমে প্রায় ১ শতাংশ। খবর: এপি।
এদিন হংকং স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক বৃদ্ধি পেলেও সাংহাইয়ের কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যসূচকগুলোর ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। তেলের দাম কিছুটা কমেছে।
২০২৩ সালে জাপানের রপ্তানি প্রায় ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহে গতি আসার কারণে গাড়ি রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে ৬৮০ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের চালান হওয়ায় রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে একই সময়ে আমদানি কমেছে ৭ শতাংশ। অপরিশোধিত তেল, কয়লা এবং তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম কমে আসায় আমদানি কমেছে। তিন বছরে প্রথমবারের মতো ইয়েনের হিসাবে আমদানি ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়ে প্রায় ৭৪৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। এতে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ইয়েনে (৬২ বিলিয়ন ডলার)। প্রাইমারি কাস্টমস তথ্যে আরও দেখা গেছে, ২০২২ সালে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২০ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ইয়েন।
জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক উপাত্তে দেখা যায়, ২০২৩ সালে মোট বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল নেতিবাচক অবস্থানে। তবে ২০২২ সালের চেয়ে যা প্রায় ৫৪ শতাংশ কম। তুলনামূলক উপাত্ত প্রাপ্তি শুরু হওয়ার বছর ১৯৭৯ সালের পর থেকে প্রথমবারের মতো রপ্তানি ১০০ ট্রিলিয়ন ইয়েন ছাড়িয়ে যায়।
তবে অর্থনীতিদদের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জাপানের এই রপ্তানি প্রবৃদ্ধি সাময়িক। ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের গ্যাব্রিয়েল এনজি এক বিবৃতিতে বলেন, চলতি বছরে আমাদের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমে আসবে। কারণ বিদেশিদের কাছে জাপানি পণ্যের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে।
বুধবার টোকিওর নিক্কেই ২২৫ সূচক কমে ১ শতাংশ। এতে তাদের পয়েন্ট হয়েছে ৩৬ হাজার ১৭১ দশমিক ৮৪। ব্যাংক অব জাপানের (বিওজে) আর্থিক নীতি আরও শিথিল করা এবং নীতি সুদহার কমানোর প্রভাবে সূচক কমেছে।
বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপি সূচক শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কমে ২ হাজার ৪৬৮ দশমিক ৬১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।