শেয়ার বিজ ডেস্ক:জাপানে এক বছর আগের তুলনায় গত মে মাসে খাদ্যপণ্যের দাম ৫ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। খবর: দ্য জাপান টাইমস।
গতকাল সোমবার ব্যাংক অব জাপান জানায়, মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইয়েনের দাম সর্বনি¤œ হওয়ায় কাঁচামালের দাম বেড়েছে।
অভ্যন্তরীণ বিষয় ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানায়, জ্বালানি খরচ কমাতে সরকারি ভর্তুকির কারণে টানা পাঁচ মাস দাম কমেছে জ্বালানির।
২০২১ সালের জুনের পর থেকে চলতি বছরের মে মাসে পাইকারি খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে পাঁচ শতাংশ। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় মাসে আমদানি মূল্য এক বছরের আগের সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২ সালের পর ডলারের বিপরীতে ইয়েনের দাম সর্বনি¤œ হওয়ায় জাপানের সম্পদে ঘাটতির জন্য আমদানি খরচ বেড়েছে। এছাড়া রপ্তানি মূল্য দুই শতাংশ বেড়েছে বলে জানায় অভ্যন্তরীণ বিষয় ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
সরকারি কর্মকর্তারা জানান, এক বছর আগের তুলনায় খাদ্য ও পানীয়ের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ এবং খনিজ দ্রব্যের দাম ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল ১৩ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি পেট্রোলিয়াম ও কয়লা পণ্যের দাম কমেছে ১ দশমিক ৮ শতাংশ।
গত মাসে জাপানের টেইকোকু ডেটা ব্যাংক লিমিটেডের একটি সমীক্ষায় জানা যায়, ডলারের বিপরীতে ইয়েনের দাম কমে যাওয়ায় চলতি বছরে জাপানে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। মূল্য বৃদ্ধির ফলে জনসাধারণের গৃহস্থালি জীবনে আঘাত আসছে। সমীক্ষা অনুসারে, দেশটিতে ডিমের দাম বৃদ্ধির কারণ পাখির ইনফ্লুয়েঞ্জা। এছাড়া খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণ দেশে সামুদ্রিক শৈবালের উৎপাদন কমেছে। তবে এভাবে খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির গতি অব্যাহত থাকলে চলতি বছর জাপানে ৩০ হাজারের বেশি খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে।
এরই মধ্যে গত মার্চ পর্যন্ত ৯ হাজার ৬৬৭টি পণ্যের দাম বেড়েছে। ডিমের সঙ্গে মেয়োনিজ ও অন্যান্য অনেক খাবারের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে কাঁচা দুধের দাম। সামুদ্রিক শৈবালের মূল্য বৃদ্ধির কারণে কাপ নুডুলস, হিমায়িত খাবারসহ বিভিন্ন ধরনের খাবারের দাম বেশি হতে পারে।
টেইকোকু ডেটা ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, সমীক্ষায় স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ১০৫টি প্রধান খাদ্য ও পানীয় কোম্পানি এবং এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ৯০টি কোম্পানির তথ্য অন্তর্ভুক্ত
করা হয়েছে।