শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রচণ্ড গরমে ভাঙল জাপানের ১৪৭ বছরের রেকর্ড। গতকাল শুক্রবার দেশটির রাজধানী টোকিওতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং নাগোয়া শহরের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ইসেজাকি শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। খবর: নিক্কেই এশিয়া।
সম্প্রতি ভয়াবহ দাবদাহের সাক্ষী ছিল দিল্লি। ভেঙে গিয়েছিল ৪৭ বছরের পুরোনো রেকর্ড। বলা হচ্ছে, দিল্লিকেও ছাপিয়ে গেল নাগোয়াÑভেঙে দিল ১৪৭ বছরের রেকর্ড। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক যে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। আবহাওয়া দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এই পরিস্থিতিতে জাপানের কয়েকটি শহরে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। ২০১১ সালে ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর বেশিরভাগ পারমাণবিক চুল্লি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কিন্তু বিদ্যুতের সংকট দেখা দেয়ায় ফুকুশিমাসহ বন্ধ করে দেয়া সব পারমাণবিক চুল্লি অবিলম্বে চালু করার নির্দেশ দেয়া হয়। গত সপ্তাহে দেশটির ২৬৩ এলাকায় অতীতের রেকর্ড ভেঙে অনুভূত হয় প্রচণ্ড গরম। এ কারণে বেড়েই চলেছে বিদ্যুতের ব্যবহার। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শপিংমল, বাজার ও অফিস-আদালতে বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর তাগিদ দিয়েছে সরকার। এতে বাসস্থানে সংকট সৃষ্টি হবে না।
পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহার না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জাপান মন্ত্রিসভার প্রধান ক্যাবিনেট সচিব সেইজি কিহারা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই গরমে মাস্ক না পরাই বাঞ্ছনীয়। দুই ব্যক্তি কাছাকাছি থাকলে বা একটু ভিড়বহুল এলাকায় গেলে অবশ্যই মাস্ক পরবেন। তবে ফাঁকা জায়গায় মাস্ক না পরা বাঞ্ছনীয়, কারণ এতে হিট স্ট্রোক হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
গত বছরও জাপান তীব্র দাবদাহের সাক্ষী ছিল। ২০১৮ সালের দাবদাহে দেশটিতে হিটস্ট্রোকে মারা যান ১৩৮ জন।