Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 7:23 pm

জাপানে বয়স্কদের ডায়াপারের চাহিদা বাড়ছে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: জাপানে ২০২৩ সালে অ্যাডাল্ট বা বয়স্কদের ডায়াপারের বাজারমূল্য ছিল ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ১৭০ কোটি ডলার এবং ২০২৬ সালের মধ্যে দেশটিতে এই বাজারমূল্য দাঁড়াতে পারে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন বা ১৯০ কোটি ডলার, যা বিশ্বের ১২ শতাংশ। খবর: দ্য জাপান টাইমস।

জাপানে বয়স্ক জনসংখ্যা সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশটির অর্থনীতি। দেশটিতে বয়স্ক জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে খুব কম দম্পতি সন্তান নিতে আগ্রহী। এমন পরিস্থিতিতে বেবি কেয়ার ব্যবসায় পরিবর্তন আনছে দেশটির প্রবীণরা।

গত মাসের শুরুর দিকে জানানো হয়, জাপানে ধারাবাহিকভাবে আট বছর ধরে জš§হার কমেছে। ২০২৩ সালে রেকর্ড নি¤œ জš§হার দেখেছে দেশটি। তখন জš§ হয় মাত্র সাত লাখ ২৭ হাজার ২৭৭টি শিশুর।

কয়েক মাস আগে জাপানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতি দশজনের মধ্যে একজনের বয়স ৮০ বছর বা তার বেশি। গত বছর জাপানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশের বয়স ৬৫ বছর বা তার বেশি ছিল।

২০২৩ সালের জুনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জš§হার বাড়াতে পরিবারগুলোকে উৎসাহিত করতে কয়েক বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প ঘোষণা করেন। মূলত জনসংখ্যাকেন্দ্রিক যে সংকট দেখা দিয়েছে, তা সমাধান করার চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। জাপানে একদিকে যেমন কর্মিশক্তি কমছে, অন্যদিকে বয়স্কদের দিক থেকে নানা চাহিদা বাড়ছে।

জাপানের বয়স্ক জনসংখ্যা ভোক্তা পণ্য বাজার পরিবর্তনে ভ‚মিকা রাখছে। দেশটিতে অ্যাডাল্ট ডায়াপারের চাহিদা বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। যদিও শিশুদের ডায়াপারের চাহিদা কমেছে।

বাজার গবেষণা প্রভাইডার ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে অ্যাডাল্ট ডায়াপারের বৈশ্বিক বাজারমূল্য ছিল ১২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। আশা করা হচ্ছে, ২০২৬ সালের মধ্যে এই বাজারমূল্য বেড়ে ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার হতে পারে।

জাপানি কোম্পানি ওজি হোল্ডিংস এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। মার্চে তারা জাপানি বাজারে শিশুদের জন্য ডায়াপার তৈরি বন্ধ ও বয়স্কদের জন্য প্রয়োজন এমন পণ্যে নজর দেয়ার কথা জানায়। যদিও বিদেশি বাজারের জন্য শিশু ডায়াপার তৈরি অব্যাহত রাখার কথা জানায় কোম্পানিটি। ২০২৩ সালে অভ্যন্তরীণ বাজারে শিশু ডায়াপার বিক্রি কমলেও চীন, ইন্দোনেশিয়া ও মালিয়েশিয়ায় তাদের বিক্রি বেড়েছে।