Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 4:20 pm

জাবিতে চার দফা দাবিতে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের মানববন্ধন

প্রতিনিধি,জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণ, নিপীড়ন ও মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস সহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ।

আজ রবিবার (৩ মার্চ) বেলা দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে চার দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।

চার দফা দাবি হলো নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্ত করতে হবে এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান, মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণাপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

দর্শন বিভাগের সহোযোগী অধ্যাপক মাহমুদা আকন্দ বলেন, সাত কর্ম দিবস পার হয়ে যাবার পরেও কোনো অফিস আদেশ আসেনি সেটার পিছনে কি রহস্য কাজ করতেছে সেটা আমরা জানতে চাই। আমরা শিক্ষার্থী বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এখানে আন্দোলন করতেছি একারনে আমরা ভর্তি পরীক্ষার সময় কোনো আন্দোলন কর্মসূচি দেই নাই। এটা আবারো প্রমানিত হল যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ কখনোই কোনো আপোষ করেনি। আজ আমরা এখানে সম্মিলিত হয়েছি দীর্ঘ বিরতির পরে কারন এখনো আমাদের সবগুলো দাবি পূরণ হয়নি, নিপীরক জনির বিরুদ্ধে যে রায়টি দেয়া হয়েছে তার এখনো কোনো অফিস আদেশ আসেনি তার জবাব আমরা চাই। আপনারা জানেন বর্তমান যিনি প্রক্টর হিসাবে রয়েছেন তিনি তিন টার্ম প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করছেন এবং তিনি নানাবিধ অপরাধ কর্মকান্ডের কথা তার বিরুদ্ধে আসলেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেননি সেই রহস্য এখনো আমরা জানি না,সেক্ষেত্রে প্রশাসন কি তাকে ইচ্ছা করেই এসব সুবিধা দিচ্ছে।তদন্তকারী সংগঠন ও রাষ্ট্রীয় সংগঠন গুলোতে বার বার উঠে আসছে প্রক্টর ও প্রভোস্টের ইনভল্বমেন্ট এর কথা, তারপরেও আমরা দেখেছি প্রক্টর কিংবা প্রাধ্যক্ষ্যের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি, তবে প্রশাসন কি তাদের বাচাতে চায়। আমরা নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ থেকে দাবি জানাচ্ছি সকল অপরাধীর বিরুদ্ধেই আমরা আন্দোলন করতেছি শুধু একজনের বিরুদ্ধেই নয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা যাবতীয় অন্যায় নির্মূল করতে বদ্ধ পরিকর। যতদিন পর্যন্ত এসব অন্যায় অপকর্ম বন্ধ হবে না ততদিন আমরা আমাদের আন্দোলন চলমান রাখব।

ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা চাই এজন্য ভর্তি পরীক্ষা চালাকলীন আন্দোলন থেকে বিরত থেকেছি। যেই শিক্ষককে বহিষ্কার করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অংশীজনেরা সস্তি প্রকাশ করেছে, তার বহিষ্কার আদেশ বিজ্ঞপ্তি আকারে এখনো প্রকাশ করা হয়নি। আজকের মধ্যে তা প্রকাশ করতে হবে। দায়মুক্তি লেখার ক্ষেত্রে যারা জড়িত তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তাদের শুধু বরখাস্ত করলেই হবে না, শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এছাড়াও শুধুমাত্র একজন শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্টাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে। আরেকজন শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্টাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়নি। এমন হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো। অবৈধ শিক্ষার্থীর তালিকাও প্রকাশ করা হয়নি। লাইব্রেরি তে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীতে পূর্ণ হয়ে গেছে, তাদেরকে সেখান থেকে হটাতে হবে। মাদক সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে হবে।

এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক ড. মাফরুহী সাত্তার, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম প্রমুখ।