প্রতিনিধি জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল ধরনের দলীয় ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এছাড়া অবিলম্বে জাকসু নির্বাচনের দাবিও জানান তারা।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সোয়া চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আহসান লাবিবের সঞ্চালনায় এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাবির শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, বিগত বছরগুলোতে যারাই ক্যাম্পাসে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন তারা কখনো শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজে আসেনি। যাদের ছাত্রত্বের মেয়াদ শেষ তারাই নতুন করে ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি চালু করতে চাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা এ ধরনের কোনো ছাত্র রাজনীতি ক্যাম্পাসে সরব হতে দিবেননা বলে জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আরিফ সোহেল বলেন, ‘সমন্বয়ক আরিফ সোহেল বলেন,
সারা দেশে বিপ্লবী ছাত্র জনতা নতুন করে দেশ ও রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রেখে চলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি কেমন হবে, চলবে কি চলবে না তার মীমাংসা করা জরুরী। ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক কাঠামোর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হয়েছে। ঔপনিবেশিকদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ছিলো প্রতিবাদের আতুর ঘর। ন্যায্য অধিকার আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয় গুলো সূতিকাগার হয়ে উঠেছিলো। ১৯৭০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু করে। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রেক্ষপটে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। ঔপনিবেশিক কাঠামো এখন আর আইনী বৈধতা রাখে না। বৃটেন বা পাকিস্তানের কলোনি না, ভৌগোলিক ভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র। বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হওয়া উচিৎ যাতে ছাত্র ছাত্রদের ২১ শতকের বাস্তবতায়, অর্থনীতে, গবেষণা, শিক্ষা সকল ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার মতো যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারে। এইজন্য দরকার বিশ্ব মানের বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্তা। যাতে একদল শিক্ষার্থী পাবো যারা বিজ্ঞান, গবেষণা, রাষ্ট্র পরিচালনা, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে।’
উল্লেখ, গতকাল উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে মেয়াদোত্তীর্ণ ক্যাম্পাসে প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে শিক্ষার্থী তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।