জাবিতে সিনিয়রকে মারধরের ঘটনার নেপথ্যে সজিব ও মুয়াজ

প্রতিনিধি, জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী নূর-এ সুলতান রিফাতকে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ইংরেজি একান্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী সজিব ও মুয়াজের সম্পৃক্ততার সত্যতা পাওয়া গেছে। সাজিবের এক অডিও ক্লিপের বক্তব্যের মাধ্যমে তার সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্পষ্ট হয়।

গত ৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেইটে রাস্তার সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে রিফাতের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বায়ান্ন ব্যাচের ছাত্রের সঙ্গে। তারই জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বরে রিফাতকে দ্বিতীয় দফায় মারধর করেন একান্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী সজিব ও তার বন্ধুরা। এসময় ঘটনা স্থলে উপস্থিত ছিলেন একই ব্যাচের শিক্ষার্থী মুয়াজ। অভিযুক্ত তারা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী।

সজিবের অডিও ক্লিপে থেকে শোনা যায়, তিনি ভুক্তভোগী রিফাতকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন, “ওরে তো মেরেই ফেলতাম। লেকের পানিতে কি নাকানি চুবানি দিছি,ও তো মরেই যেতো।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সজিব বলেন, অডিও ক্লিপটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যাপস ব্যবহার করে করা হয়েছে। এটি আমার অডিও ক্লিপ নয়।

তবে, সজিবের অডিও ক্লিপটির বিষয় তার ব্যাচেরই একাধিক শিক্ষার্থী স্বীকার করেছেন। এক শিক্ষার্থী বলেন, অডিও ক্লিপ সজিব নিজেই মেসেঞ্জারে বয়েজ গ্রুপে শেয়ার করে। সেখান থেকেই এটা জনসম্মুখে আসে। ভয়েস শুনে বোঝা যাচ্ছে এটা সজিবের কন্ঠ।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আজ ক্লাস শেষে সজিবের হয়ে কয়েকজন বন্ধু আমাদের সবাইকে আটকে রেখে মোবাইল চেক করে তার অডিও ক্লিপ কে প্রকাশ করেছে তা জানার জন্য। তখন সে কাওকে চিহ্নিত করতে পারেনি।

এদিকে হামলার সময় ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন মুয়াজ। তার সামনেই রিফাতকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারই ব্যাচের শিক্ষার্থী শিশির ও গালিব। এ বিষয়ে মুয়াজ বলেন, ঘটনার সাথে আমি সম্পৃক্ত নই। তবে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম এবং সজিবকে মেডিকেলে নিতে সহায়তা করি।

এর আগে নিজ হল মীর মশাররফ হোসেন হলের কক্ষ থেকে বায়ান্ন ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মুয়াজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাতেও প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করেন বায়ান্ন ব্যাচের ঐ শিক্ষার্থী। মুয়াজ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। তিনি সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় ৫ মে হত্যাচেষ্টার বিচার চেয়ে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী রিফাত। লিখিত অভিযোগে তিনি সজিব ও মুয়াজের নাম উল্লেখ্য করেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০