প্রতিনিধি ,জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনার জেরে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতিসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্লাটফর্ম নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ। এরই ধারাবহিকতায় কয়েক সপ্তাহের লাগাতার আন্দোলন ও প্রশাসনিক ভবন দিনব্যাপী অবরোধ কর্মসূচির পর ফিরোজ উল হাসান সোমবার (১৮ মার্চ) স্বেচ্ছায় পদত্যাগ পত্র জমা দেন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বরাবর।
অফিস আদেশে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসান-এর লিখিত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে তাঁকে প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
তার পদত্যাগে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ইংরেজি ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ বলেন, ‘প্রক্টরের পদত্যাগ প্রমাণ করলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধর্ষকের সহায়তাকারীর স্থান নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্টেকহোল্ডার খুশি হয়েছেন। মাহমুদুর রহমান জনির মত বিশ্ববিদ্যালয়কে অপরাধ-রাজ্য গড়ে তোলার কারিগর প্রক্টর এর অপসারণ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাভাবিক জীবন দিতে সহায়তা করবে। আমরা তাকে তদন্তের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি, যাতে করে আগামীতে কোনো প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা কেউ এরকম দুঃসাহস করতে সামান্যতম সাহসও না দেখায়।’
এর আগে, তিনি ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সময় ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সহকারী প্রক্টর ও ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরের দায়িত্ব পান আ স ম ফিরোজ উল হাসান। এরপর ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর স্থায়ী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। স্থায়ী দায়িত্ব পাওয়ার পর নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সাথ উঠে আসে আ স ম ফিরোজ উল হাসান। বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়া, দোষীদের বাঁচাতে লেজুড়বৃত্তি, নিয়োগ বাণিজ্য, মাদক সিন্ডিকেটে সহায়তা, ছাত্র-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বে অবহেলাসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি।