ক্রীড়া প্রতিবেদক: একটা সময় বাংলাদেশ দলের নির্ভরযোগ্য ওপেনার ছিলেন। বর্তমানে জাভেদ ওমর বিসিবির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন। সবশেষ জাতীয় নারী দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয় আইসিসির। তাইতো খবর রটেছে সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান পড়েছেন নিষেধাজ্ঞার মুখে। যদিও এই খবরের সত্যতা নিয়েও আছে প্রশ্ন!
এই ইস্যুতে যাদের কাছে সবার আগে খবর আসার কথা সেই বিসিবি কিছুই জানে না। বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। মূল কথা হলো, বিসিবির প্রধান নির্বাহী হওয়ার কারণে আইসিসির কোন নির্দেশ, নিষেধাজ্ঞা বা পরামর্শ- আমার কাছেই আসার কথা। কখনও কখনও বোর্ড প্রেসিডেন্টের (নাজমুল হাসান পাপন) কাছেও আসে। যদি তাই আসত, তাহলেও আমি জানতাম। বোর্ড সভাপতির কাছে আইসিসির কোন নির্দেশাবলী আসলে আমাকে তিনি বলতেন, আমাকে জানাতেন। কিন্তু তিনিও কিছু বলেননি। কাজেই আমরা মানে বিসিবি এখনও পর্যন্ত আইসিসির কাছ থেকে এমন কোন নির্দেশনা পাইনি।’
দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদ পত্র ও ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানায়-জাভেদ ওমরের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ এনেছে আইসিসি। ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজ এমনই খবর প্রকাশ করেছে। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে কোনো কাজ করবে না আইসিসি ও বিসিবি। এ ব্যাপারে বিসিবির এক কর্মকর্তা ক্রিকবাজ-কে বলেছে, ‘জাভেদ ওমর অবসর গ্রহণ করায় আইসিসি বাড়তি ঝামেলায় যেতে চায়নি। এজন্য বিসিবিকে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক তাকে আর কখনো বিসিবির কোনো দায়িত্ব দেওয়া হবে না।’
আইসিসি ঐ নির্দেশনায় বিসিবিকে বলেছে, বোর্ড অনুমোদিত ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে জাভেদ ওমরকে যেন কখনই অন্তর্ভুক্ত করা না হয়। আইসিসির এ নির্দেশনা মতে জাভেদ ওমরকে সব ধরনের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি! যদিও এই খবরের সত্যতা এখনো নিশ্চিত নয়।
পুরো বিষয়টা নিয়ে জাভেদ ওমর বলেন, ‘আমার বিপক্ষে এত বড় অভিযোগ, সবার আগে জানবে আমার ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। তারা জানে না, সিইও সকালবেলা আমাকে ফোনে জানালেন, না না, আইসিসি থেকে এমন কোন নির্দেশনা আমরা পাইনি। আপনার বিপক্ষে কোন অভিযোগও করেনি আইসিসি।’
জাভেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। ২০০৯ সালে এ ডানহাতি খেলেছেন সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সব মিলিয়ে এ তারকা দেশের জার্সিতে খেলেন ৪০ টেস্ট এবং ৫৯ ওয়ানডে। এবার সেই তিনি পড়লেন আইসিসির নিষেধাজ্ঞায়।Attachments area