জামালপুরে শিশু ধর্ষণের অপরাধে মাদ্রাসা শিক্ষকের কারাদণ্ড

প্রতিনিধি, জামালপুর : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে মসজিদের ভিতর শিশু ধর্ষণের অপরাধে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এই রায় দেন।    

মামলা সূত্রে জানা গেছে, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ভাটিপাড়া গ্রামের এক দম্পতি ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতো। সেই সুবাদে তাদের ৫ বছর বয়সী কন্যাশিশু ওই গ্রামে তার নানীর কাছে থাকতো। ওই শিশুকে আরবী শেখানোর জন্য তার নানী তাকে পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গারগ্রাম জামে মসজিদে ইসলামিক ফাইন্ডেশন পরিচালিত মসজিদ ভিত্তিক শিশু শিক্ষালয়ে ভর্তি করিয়ে দেয়। সেখানে ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর সকালে শিক্ষালয়ের নিয়োগপ্রাপ্ত হুজুর মনিরুল ইসলাম সব ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ছুটি দিয়ে ওই শিশুকে মসজিদের ভিতর ধর্ষণ করে। পরে বাড়ি ফিরে আসার শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনার পরের দিন শিশুটির নানী বাদী হয়ে ভাঙ্গারগ্রাম এলাকার শুক্কুর আলীর ছেলে মনিরুল ইসলামকে(৪২) আসামী করে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ১৪ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম আসামী মনিরুল ইসলামের উপস্থিতিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১০ ধারায় তাকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদয়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন স্পেশাল পিপি মোহাম্মদ আকরাম হোসেন ও আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো: রেজাউল আমিন শামীম।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০