ক্রীড়া ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে লম্বা ছিল বাংলাদেশের ফুটবল। তবে চলতি মাসেই মাঠে ফিরছে লাল-সবুজদের খেলা। এজন্য প্রতিদিনই অনুশীলনে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন জামাল ভুঁইয়া-রবিউল ইসলাম জীবনরা।
শনিবার তাদের সেই অনুশীলন দেখতে দুই সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ ও আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিককে নিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। অনুশীলন দেখে সন্তুষ্ট হলেও বাফুফে বস খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে চিন্তিত। অনুশীলন দেখে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে ফুটবলারদের শতভাগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন।
এ ব্যাপারে শনিবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ওদের (খেলোয়াড়দের) সাধারণ কথা বলেছি। তোমরা তোমাদের শতভাগ দাও। যেটা তোমরা পারবে। সেরাটা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।’ আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে হবে দুটি প্রীতি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। দলের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ২৪ অক্টোবর থেকে।
দীর্ঘ সাত মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ দিয়ে ফুটবল ফিরছে দেশের মাটিতে এটাই স্বস্তির সালাউদ্দিনের কাছে, ‘মাঠে আসলাম ফুটবল শুরু করার জন্য। করোনা ভাইরাসের কারণে ফুটবল বন্ধ ছিল। এখন আমরা অনুশীলনটা দেখতে আসছি; কিভাবে হচ্ছে, ফুটবলের শুরুটা দেখতে আসলাম।’
অনুশীলন দেখে খুশি সালাউদ্দিনসহ অন্যরা। তবে দলে যে ফিটনেসের ঘাটতি আছে তা মেনে নিচ্ছেন বাফুফে বস। যা পূরণ হতে ফুটবলারদের আরও ছয় মাস লেগে যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি, ‘অনুশীলন ভালো হচ্ছে। আরও সময় পেলে ভালো হতো। সময়ের অভাব। প্লানিং আছে। তবে ফিটনেসে এখনও গ্যাপ আছে। ফিটনেসের গ্যাপ থাকারই কথা। কারণ সাত মাস যদি ফুটবল না খেলেন সেটা কভার করতে আরও সময় লাগবে। এই ঘাটতি পূরণ করতে ৬ মাসও লেগে যেতে পারে।’
শুক্রবার ঢাকায় পৌঁছে শনিবার দলের অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন ফিটনেস কোচ আইভান রাজলোক ও ফিজিওথেরাপিস্ট আন্দ্রে কারলে। ৬০ মিনিটের অনুশীলন ম্যাচ শেষে ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ জানান তারা এখনও পুরো ফিট নন, ‘প্রথমবার ম্যাচ খেলেছি। ৯০ ভাগ ফিট আছি। আশা করছি ম্যাচের আগে সম্পূর্ণ ফিট হয়ে যাব। যে জায়গায় আজকে সমস্যা হয়েছে তা সামনের দিনগুলোতে থাকবে না।’