নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি সমাবেশের জন্য গোলাপবাগ মাঠ ব্যবহারের অনুমতি পেলেও জামিন পাননি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। নয়াপল্টন সংঘর্ষের মামলায় জামিন আবেদন নাকচ করে গতকাল বিকালে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম। বিএনপির এ দুই নেতাকে রিমান্ডে নেয়ার কোনো আবেদন ছিল না। সে কারণে তাদের এজলাসে হাজির না করে হাজতখানায় রেখেই শুনানি হয়।
ফখরুল ও আব্বাসের পক্ষের জামিন শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, জয়নুল আবেদীন, মহসিন মিয়া, খোরশেদ আলম মিয়া, বোরহান উদ্দিন, ওমর ফারুক ফারুকীসহ আরও কয়েকজন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু, এপিপি আজাদ রহমান ও এপিপি তাপস পাল জামিনের বিরোধিতা করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক জামিন নাকচ করে ফখরুল ও আব্বাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে এর প্রতিবাদে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ দেখান। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে ডিবি।
এ বিষয়ে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, আমরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য নিয়ে এসেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবারের ঘটনায় তাদের নির্দেশদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার করেছি। গতকাল বেলা সোয়া
২টায় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুলিশের ওপর একটি বর্বরোচিত হামলা হয়েছে। ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং জানমালের ক্ষতি করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের অপরাধটা হচ্ছে আসলে এই অপরাধগুলোর উসকানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে।
বিএনপির আর কোনো কেন্দ্রীয় নেতা নজরদারিতে রয়েছেন কি নাÑজানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা সবকিছু খেয়াল রাখছি। কেউ যদি আরও এমন অপরাধ করে তারা আমাদের নজরদারিতে থাকবে এবং তাদের বিষয়েও আমরা ব্যবস্থা নেব।
গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান। তিনি বলেন, রাত ৩টার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে তার উত্তরার বাসা থেকে এবং ৩টা ২০ মিনিটে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যায়।
