জার্মানির বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: জার্মানি টানা দ্বিতীয় বছরের মতো অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে মুদ্রাস্ফীতির হার কমে আসবে বলে জার্মান সরকার বারবার তার নাগরিকদের আশ্বস্ত করে আসছেন। তবে বর্তমান বাজার বিশ্লেষণ ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অর্থনীতির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করলে সামনের মাসগুলোয়ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে না কমলেও যদি একটি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে, পাশাপাশি মজুরিও বৃদ্ধি পায় তাহলে অন্তত মানুষের মৌলিক চাহিদার একটি ‘খাদ্য’ নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না। খবর: ডয়চে ভেলে।

জার্মানিতে ২০১৮ -২০১৯ সালে ৩০ থেকে ৪০ ইউরোর বাজার করলে একজন মানুষের বেশ ভালোভাবে এক সপ্তাহ চলে যেতো। তবে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই বাজার বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ ইউরো। তবে ঘণ্টা প্রতি কাজের ন্যূনতম মজুরি দ্বিগুণ বাড়েনি। ২০১৮ সালে ঘণ্টা প্রতি ন্যূনতম মজুরি ছিল ৮ ইউরো ৮৪ সেন্ট, যা ২০২৪ সালে এসে হয়েছে ১২ ইউরো ৪১ সেন্ট। অর্থাৎ, খাদ্যদ্রব্যের মূল্য দ্বিগুণ বাড়লেও শ্রমের মূল্য বেড়েছে ‘অর্ধেক’। আর স্বাভাবিকভাবেই জার্মানিতে কখনও অর্থনৈতিক মন্দা এলে তার ছোঁয়া লাগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পরিবারের বাকি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বাজারেও।

২০২০-২০২১ সালে করোনা মহামারির কারণে বৈশ্বিক পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থাপনা (সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট) ভেঙে পড়লেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভর্তুকি ও সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় তখনও প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই ছিল। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লাগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর। জার্মানিসহ ইউরোপের অনেক দেশ তাদের প্রয়োজনীয় জ্বালানির জন্য অনেকাংশে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। জ্বালানি-সংকটে সেই সময় অনেক কোম্পানির উৎপাদন অস্বাভাবিক হারে কমে যায়। ভূ-রাজনৈতিক জটিলতায় টালমাটাল হয়ে পড়ে চাল, গম ও ভোজ্য তেলের বাজার। তখন প্রায় কয়েক মাস সুপারশপগুলোয় দিনের পর দিন কোনো ভোজ্য তেল পাওয়া যাচ্ছিল না। সে বছর এক লাফে জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়ে ৮ শতাংশের কাছাকাছি চলে যায়, যা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এসেও ৫ শতাংশের ওপরে অবস্থান করছে।
২০২২ সালে মুরগির ছিল দুই ইউরো ৮৯ সেন্ট, যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় চার ইউরো ২০ সেন্ট।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০