নিজস্ব প্রতিবেদক: স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের জাল সনদ তৈরি করে চাকরি নিয়েছেন। সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতাও করছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা খেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় ফেঁসেছেন। তার নাম সবুজ মিয়া। তিনি গাজীপুর সদরের মফিজ উদ্দিন খান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার একটি মামলা দায়ের করেছে দুদক। গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইদুজ্জামান মামলাটি দায়ের করেছেন।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, সুবজ মিয়া স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের জাল সনদ তৈরি করে চাকরি নিয়েছেন। তিনি ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) পদে যোগ দেন। ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত সময়ে সরকারি অংশের বেতন-ভাতা বাবদ ৯ লাখ ৩১ হাজার ৬০৯ টাকা এবং বেসরকারি অংশের বেতন-ভাতা বাবদ ৩ লাখ ৩১ হাজার ৪৭ টাকাসহ মোট ১২ লাখ ৬২ হাজার ৬৫৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি দণ্ডবিধির ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০ ধারায় অপরাধ করেছেন। জাল সনদকে তিনি খাঁটি হিসেবে উপস্থাপন করে চাকরি নিয়েছেন। সনদ দুটি যাচাই-বাছাইকালে আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার বইয়ে পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কলা অনুষদভুক্ত কোনো বিষয়ে এ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষা কার্যক্রমও পরিচালিত হয়নি।