নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেড আফরাম্যাক্স ট্যাংকার ওমেরা কুইন নামে একটি জাহাজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কারণে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ একটি সমঝোতা চুক্তি অনুমোদন করেছে। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, আফরাম্যাক্স ট্যাংকার ওমেরা কুইন বাংলাদেশের পতাকা বহন করে ৯ বছরেরও বেশি সময় ১০২টি ভ্রমণ সম্পন্ন করেছে। জাহাজটির অনেক বয়স এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। একইসঙ্গে জাহাজের ড্রাই ডক ব্যয়ও বেড়ে গেছে। এজন্য এমজেএল বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদ ওমেরা কুইনকে ৮০ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। তবে কোম্পানিটি ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে একটি নতুন জাহাজ রিপ্লেসমেন্ট করবে। যার ধারণ ক্ষমতা এক লাখ থেকে এক লাখ ১৫ হাজার টন হবে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৮১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৫১ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে চার টাকা ৯২ পয়সা, আগের বছর ছিল চার টাকা ৩৩ পয়সা।
এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৬ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৩৫ টাকা ৬৪ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১১ টাকা ২৫ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল পাঁচ টাকা দুই পয়সা।
৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ৪৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ৮৭ পয়সা এবং ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৬৪ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে সাত টাকা ও ৩৭ টাকা ৪৯ পয়সা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত ১৫ দশমিক ৬৪। আর অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৩ দশমিক ৯৯।
‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩১৬ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ৫৫৮ কোটি দুই লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৩১ কোটি ৬৭ লাখ ৫২ হাজার ২৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের ৭১ দশমিক ৫৩ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালক, প্রতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৯২ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৯১ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে কোম্পানিটির দুই লাখ ১৫ হাজার ৫৫৮টি শেয়ার মোট ৪০৩ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর এক কোটি ৯৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৯০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৯৩ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৫৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৯৩ টাকা ১০ পয়সায় ওঠানামা করে।