ক্রীড়া ডেস্ক: ফাইনালে দলকে জেতাতে পারেননি। তবে আগুন ঝরা বোলিং করেছেন জাহানারা আলম। নিজের পকেটে পুরেছেন দুটি উইকেট। শুধু তাই নয়, ইন্ডিয়ান উইমেন্স টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের সেরা বলও বের হয়েছে এ পেসারের হাত থেকে। এমনটাই বলেছেন ওই ম্যাচের ধারাভাষ্যকাররা।
কোনো বিদেশি নারী টি-টোয়েন্টি লিগে বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ভারতে গিয়েছিলেন জাহানারা। কিন্তু ওই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি তিনি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন এ ডানহাতি। ওইদিন অবশ্য নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এ ডানহাতি পেসার। তারপরও তার ওপর আস্থা রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। যে কারণে গত পরশু আবারও বাংলাদেশের এ পেসারকে তারা দেন সুযোগ। যা দুই হাতভরে কাজ লাগিয়েছেন তিনি।
গত পরশু ইন্ডিয়ান উইসেন্স টি-টোয়েন্টি লিগের ফাইনালে তার ভেলেসিটিকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে সুপারনোভা। যেখানে ৪ ওভারে জাহানারা ২১ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। শুরুর তিন ওভার দুর্দান্ত বোলিং করেন তিনি। সে সময় এ ডানহাতি রান দেন ৩ ওভারে মাত্র ৮ রান! নেন ২টি উইকেট। অবশ্য শেষের ওভারে ১৩ রান দেন জাহানারা। শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে বল হাতে পান জাহানারা। দেন মাত্র ১ রান। এরপর ১২ নম্বর ওভারে দায়িত্ব পেয়ে প্রথম সাফল্যের দেখা পান এ ডানহাতি পেসার। সেই ওভারে ৪ রান খরচ হয় তার। বোল্ড করেন এনআর সেইভারকে।
জাহানারার চমকপ্রদ বোলিংয়ে জয়ের পথেই ছিল ভেলোসিটি। শেষ ৪২ বলে ম্যাচ জিততে প্রয়োজন ছিল ৬১ রান। ৬ উইকেট হাতে। ঠিক সে সময় আবার আক্রমণে জাহানারা। দেন মাত্র মাত্র ৩ রান। নেন আরেকটি উইকেট। ওই সময় সুপারনোভার ব্যাটসম্যান ডিভাইনকে যে কায়দায় বোল্ড করেন জাহানারা, সেই বলকে বলা হচ্ছে ‘বল অব দ্য টুর্নামেন্ট!’ দুর্দান্ত জাহানারার ডেলিভারিটি ছিল অফ সাইডে। কিন্তু ডিভাইন খেলতে পারেননি। লেন্থ মিস করেন। একটু নিচু হওয়া বল স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে দুই হাত উঁচিয়ে সাফল্যের আনন্দে মাতেন জাহানারা। ওই সময়ে জাহানারার অসাধারণ ডেলিভারি সবাইকে বেশ চমকে দেয়। যে কারণে সেøা মোশনে বেশ কয়েকবার সেই আউট দেখার পর ধারাভাষ্যকাররাও সিদ্ধান্তে পৌঁছান-পুরো টুর্নামেন্টের সেরা বল এটা!
জাহানারার বল টুর্নামেন্ট সেরা!
