গর্ভাবস্থায় নারী স্বাস্থ্যের ঝুঁকি এড়াতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন হয়েছে। জিই হেলথকেয়ার ও সৃষ্টি ইনস্টিটিউট ফর হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ৫৫০ আল্ট্রাসাউন্ড বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের জন্য এ কোর্সের আয়োজন করে। রাজধানীর হোটেল র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে দুদিনব্যাপী এ কোর্সের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের প্রথম ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব আল্ট্রাসাউন্ড ইন অব জিন (আইএসইউওজি) অনুমোদিত কোর্স এটি।
প্রশিক্ষণ কোর্সে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের সবচেয়ে সাধারণ অবসটেট্রিক ইমার্জেন্সিতে দক্ষতার সঙ্গে চিকিৎসার জন্য হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর লক্ষ্য ছিল নারী স্বাস্থ্যের উন্নতি, প্রশিক্ষণ, জ্ঞান বিনিময়, বাংলাদেশে মাতৃত্বকালীন এবং ভ্রƒণের সুস্থতার জন্য সেবার মান ও প্রমাণভিত্তিক সমাধানের উন্নয়ন। এছাড়া ভ্রƒণ-সংক্রান্ত ওষুধ, জেনেটিক স্ক্রিনিং ও
প্রি-একলামপসিয়ার প্রাথমিক চিকিৎসার বিভিন্ন দিক থেকে উন্নত সাম্প্রতিক জ্ঞান ও দক্ষতায় সহায়তা করা এ কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য ছিল।
দুদিনের এ কোর্সের প্রথম দিনে ভ্রƒণের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠা ও কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কি না, তা জানার জন্য গর্ভকালীন প্রথম ছয় মাস আল্ট্রাসাউন্ডের ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। দ্বিতীয় দিনে কীভাবে ভ্রƒণের হার্ট ইমেজিং করতে হবে ও ভ্রƒণের হƒৎপিণ্ডে কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কি-না, তা কীভাবে জানা যাবে সে বিষয়ে শেখানো হয়। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা আল্ট্রাসাউন্ড সম্পর্কে সর্বাধুনিক তথ্য, গাইনিকোলজি, ধাত্রীবিদ্যা ও ভ্রƒণের কার্ডিয়াক ইভাল্যুয়েশনে থ্রি-ডি ও ফোর-ডি আল্ট্রাসাউন্ড ইমেজিংয়ের ব্যবহার এবং গাইনিকোলজি ও ইনফার্টিলিটি বিষয়ে নতুন
প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
কোর্সটি আইএসইউওজি অনুমোদিত ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের দ্বারা পরিচালিত। যুক্তরাজ্যের অধ্যাপক এরিস পাপাজিওরঘিউ, নেদারল্যান্ডসের অধ্যাপক কাটিয়া বিলরাডো, ভারতের ডা. প্রশান্ত আচার্য ও ডা. মালা সিবালসহ বাংলাদেশের ফ্যাকাল্টি সৃষ্টি ইনস্টিটিউট ফর হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সিইও এবং প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ও শীর্ষস্থানীয় সোনোলজিস্ট ডা. মোহাম্মদ আখতার হোসাইন এ শিক্ষামূলক সেশন পরিচালনা করেন।
জিই হেলথকেয়ার
হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, বায়োটেক ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণধর্মী হেলথকেয়ার প্রতিষ্ঠান জিই হেলথকেয়ার। শীর্ষস্থানীয় মেডিক্যাল ইমেজিং যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রায় ১০০ দেশে ৫০ হাজারেরও বেশি কর্মী নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা খাতে ভূমিকা রাখছে তারা।