নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৮ পয়সা। ২০২০ সালের ৩১ মার্চ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৮৩ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ২২ টাকা ৪৯ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে এক টাকা সাত পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ৮২ পয়সা ছিল।
আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪৫ পয়সা। ২০২০ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ২৪ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ২২ টাকা ৪৯ পয়সা।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ছয় শতাংশ নগদ এবং সাড়ে চার শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু এজিএমে আগের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনে বিনিয়োগকারীরা সাড়ে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার অনুমোদন করেছে।
আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪৬ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৪৯ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৪০ পয়সা ও ২২ টাকা ৮৪ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ৭৬ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৫৭ পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালে কোম্পানিটি ১৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, আর তার আগের বছর ছিল সাড়ে ২৩ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১০ শতাংশ বা এক টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৯ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৯ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে ৭৯ লাখ ১২ হাজার ৪৭০টি শেয়ার মোট দুই হাজার ১৬৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৫ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৯ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১৯ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়।