জিএসপি ফাইন্যান্সের শেয়ারদর ৪১ শতাংশ কমেছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দরপতনের শীর্ষে ছিল জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৪০ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড় হিসাবে এ লেনদেন ছিল ছয় লাখ ২০ হাজার টাকা। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৭৫ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৮ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ২ টাকা ৯৩ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ২৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৬৩ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ৪ টাকা ৮৮ পয়সা কমেছে।  এছাড়া ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৫৩ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৪৯ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছর একই সময় ২৮ পয়সা  (ঘাটতি) ছিল।

এদিকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি জিএসপি ফাইন্যান্স লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা (লোকসান) এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৭৮ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ১৫ পয়সা (লোকসান)। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও সাড়ে সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ওই লভ্যাংশ প্রদানে অসম্মতি জানায়। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তাদের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৩৫ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮৪ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাাকা ৫৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তাদের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯০ পয়সা।

দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৪০ দশমিক ৫৯ শতাংশ। দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয় ৩৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দরপতনের তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ৩৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এমএল ডায়িং লিমিটেডের দর কমেছে ৩৮ দশমিক ৭১ শতাংশ, মতিন স্পিনিং মিলস পিএলসির শেয়ারদর কমেছে ৩৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৩৮ দশমিক ০২ শতাংশ, রিং শাইন টেক্সটাইলস লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ৩৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ, ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ৩৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ, বাংলাদেশ ল্যাম্পস লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ৩৪ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির শেয়ারদর কমেছে ৩৪ দশমিক ১৭ শতাংশ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০