শোবিজ ডেস্ক: সর্বশেষ কয়েক বছরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। তামিল ও তেলেগু সিনেমার রিমেকগুলো আগের মতো বক্স অফিসে জমিয়ে বসতে পারছে না। সে কারণে পেছনে পড়েছেন নাচ-গাননির্ভর সিনেমার নায়ক দেব ও জিৎ। সে তুলনায় ভালো করছেন আবির, পরমব্রত ও সিনিয়র তারকা যিশু। ২০১৫ সালের বক্স অফিস খতিয়ান জানাতে গিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, কিছু ছবি পোস্টারের আঠা শুকোনোর আগেই হল থেকে উধাও হয়ে গেছে। কিছু আবার ১৫ দিন চললেই সাকসেস পার্টি দিয়েছে। ছবির সাফল্য নিয়ে টুইটারে পিঠ চাপড়ানি চললেও বক্স অফিসে দু’একটা ছাড়া কোনো ছবিই হালে পানি পায়নি। সব মিলিয়ে টালিউড ১০০ কোটি রুপি গচ্চা দিয়েছে।
অঞ্জন দত্ত অন্য সিনেমায় ভালো না করলেও এক ব্যোমকেশ বক্সিতে বাজার ধরে রেখেছিলেন। দুর্গাপূজার ছবির ভিড়ে ভালো করেছে ‘ব্যোমকেশ ও চিড়িয়াখানা’। সবচেয়ে ভালো কালেকশন এ সিনেমার।
অরিন্দম শীলের শবর সিরিজের দ্বিতীয় সিনেমা ‘ঈগলের চোখ’ও হিট। এ সিনেমায় ছিলেন বাংলাদেশের জয়া আহসান। বক্স অফিস সফলতা না পেলেও সোহানা সাবা অভিনীত ও অয়ন চক্রবর্তীর প্রথম ছবি ‘ষড়রিপু’ প্রশংসা পেয়েছে।
নায়কদের মধ্যে এগিয়ে ছিলেন আবির চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও যিশু সেনগুপ্ত। ‘জুলফিকার’-এ একঝাঁক তারকার মধ্যে আলাদা করে চোখে পড়েছেন যিশু। তার ‘ব্যোমকেশ ও চিড়িয়াখানা’ গেলো বছরের অন্যতম হিট। ‘কেলোর কীর্তি’র মতো বাণিজ্যিক ছবিও করেছেন যিশু। আবিরের ‘মনচোরা’, ‘বাস্তু-শাপ’, ‘ঠাম্মার বয়ফ্রেন্ড’, ‘ব্যোমকেশ পর্ব’ রিলিজ হয়েছে ২০১৬তে। আলাদা আলাদা চরিত্রে নজর কাড়েন তিনি। ভালো করেছে ‘বাস্তু-শাপ’ ও ‘ব্যোমকেশ পর্ব’। ১৬’র শুরুতে ‘বাস্তু-শাপ’ দিয়ে হাজির হন পরমও। এবার ‘সিনেমাওয়ালা’ একেবারেই জমেনি। তারপর ‘হেমন্ত’ ও ‘চকোলেট’ চূড়ান্ত ফ্লপ। ‘জুলফিকর’-এ দেখা গেছে তাকে। অন্যদিকে জিতের দুলনায় এগিয়ে ছিলেন দেব। ‘লাভ এক্সপ্রেস’, ‘কেলোর কীর্তি’র মতো বাণিজ্যিক ছবির পাশাপাশি ‘জুলফিকার’ করেছেন তিনি। জিতের ‘পাওয়ার’ ও ‘অভিমান’ একেবারেই জমেনি। সেমিহিট ‘বাদশা দ্য ডন’-এর ভরসা ছিল বাংলাদেশের বাজার। এক ‘শঙ্খচিল’ ছাড়াই যৌথ প্রযোজনার কোনো সিনেমা ব্যবসা করতে পারেনি।
Add Comment