বিনোদন প্রতিবেদক: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে জায়েদ খানকে অপসারণের সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচনের আপিল বোর্ড। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এফডিসিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান, চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান।
আজ বিকেল ৫টায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির অফিসে আপিল বোর্ডের জরুরি এক বৈঠক বসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন না জায়েদ খান। উপস্থিত ছিলেন না কার্যকরী সদস্য পদে অভিযুক্ত চুন্নুও।
তারা উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বক্তব্য পায়নি আপিল বোর্ড। তবে তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আপিল বোর্ড।
সভায় জায়েদের পরিবর্তে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষনা করা হয়। আর ইসিতে চুন্নুর পরিবর্তে ১৭৯ ভোট পাওয়া নাদির খানকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো শিল্পী সমিতির নির্বাচন। সেখানে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেন জায়েদ খান। এটা ছিল তার টানা তৃতীয়বারের জয়। তবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নায়িকা নিপুন অভিযোগ তোলেন, নির্বাচনে দুর্নীতি করেছেন জায়েদ। টাকা দিয়ে ভোটও নাকি কিনেছেন।
এসব অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছিলেন নিপুণ। লিখিত অভিযোগ জানান নির্বাচনের আপিল বোর্ডের কাছেও। এরপরই বোর্ডকে বিষয়টির সুরাহা করার দায়িত্ব দেয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
পরে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে শনিবার বিকালে বৈঠক ডাকে আপিল বোর্ড। এতে নিপূণ অংশ নিলেও জায়েদ ছিলেন অনুপস্থিত। তার অনুপস্থিতিতেই সোহানুর রহমান সোহান ঘোষণা করেন, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খান থাকছেন না। নির্বাচনে অনিয়ম করার অভিযোগে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। তার পরিবর্তে অপর প্রার্থী নিপুণ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে দুই মেয়াদে চার বছর ধরে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন জায়েদ খান। তখন তার সঙ্গে সভাপতি ছিলেন মিশা সওদাগর। সর্বশেষ নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
শিল্পী সমিতির এই নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪২৮ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন। তাদের প্রদত্ত ভোটেই নতুন নেতৃত্ব এসেছে সংগঠনটিতে। নির্বাচনে ১৯১ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী জায়েদ খান পেয়েছিলেন ১৭৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নায়িকা নিপুণ পান ১৬৩ ভোট। এদিকে জায়েদ খান ও আপিল বোর্ডের অন্য এক সদস্য মোহাম্মদ হোসেন জেমির দাবি-আপিল বোর্ডের মেয়াদ গত ২৯ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। স্বাভাবিক কারণে আপিল বোর্ড এই রায় দিতে পারেন না বলে তারা মনে করেন।